বাংলাদেশিদের জন্য নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ভিডিওবার্তা
সম্ভবত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করল যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির নতুন রাষ্ট্রদূতকে এ দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা।
আজ শুক্রবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ইউটিউব চ্যানেলে এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষকে সালাম ও নমস্কার জানিয়ে কথা বলছেন মার্শা বার্নিকাট। তিনি ইংরেজিতেই কথা বলেছেন, তবে সেই কথার অনুবাদ ভিডিওর নিচে সাব টাইটেল হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ভিডিওচিত্রের শুরুতেই রয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার ছবি। এরপর দৃশ্যপটে আসেন সদ্যনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। হাসিমুখে তিনি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, নমস্কার। আমি মার্শা বার্নিকাট। প্রেসিডেন্ট ওবামা আমাকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন এ জন্য আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি কূটনীতিক হিসেবে কাজ শুরুর পর থেকেই ‘লাল সবুজের দেশে’ কাজ করতে চেয়েছি। আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বকে বাড়ানোর জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি।’
বার্নিকাট বলেন, ‘আমি নিউজার্সি থেকে এসেছি এবং বৈচিত্র্যময় ও একটি বড় পরিবার থেকে এসেছি। আমার অভিভাবকরা তাঁদের আদিবাসী আমেরিকান এবং আফ্রিকান পূর্বসূরিদের জন্য গর্ববোধ করতেন। আমার দুই ছেলে সুনীল ক্রিস্টোফার ও সুমিত নিকোলাস। যখন নয়াদিল্লিতে থাকতাম তখন তাঁদের জন্ম।’
নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, “আমি এই মিলিত সফরে অনেক নতুন বন্ধুত্বের আশা করি। এমন এক বাংলাদেশ যেখানে সহনশীলতা ও সামাজিক সৌহার্দ্যকে মূল্য দেওয়া হয়। আমি আমার সমস্ত কর্মজীবনে উপভোগ করেছি এইচআইভি/এইডস নিয়ে কাজ করতে; আন্তর্জাতিক অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে; বাণিজ্য প্রসারে এবং শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তাদের জন্য শিক্ষা প্রসারে। আমি বিশেষত নবীন বাংলাদেশিদের সাথে দেখা করতে এবং আপনাদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আপনাদের প্রত্যাশা ও স্বপ্ন শুনতে উন্মুখ হয়ে আছি। কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন, বাংলাদেশি জনগণের অপরিহার্য চেতনা হলো ‘আকাশের মত বাধাহীন’ ও ‘চিত্তমুক্ত শতদল’। আমি এই চেতনার সাথে সরাসরি পরিচিত হতে চাই।”
পুরো ভিডিওতে বার্নিকাটের কথার সঙ্গে মাঝে মাঝে তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, কাজে যোগদান, পরিবারে সঙ্গে কাটানো সময়ের ছবি দেখানো হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, বক্তব্যের মাঝে ‘লাল সবুজের দেশে’ এই শব্দ তিনটি তিনি বাংলাতেই উচ্চারণ করেন।