ইবির বাসচালককে শিক্ষার্থীদের মারধর
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/10/23/photo-1477232284.jpg)
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীদের বহনকারী একটি বাসের চালক ও তাঁর সহকারীকে পিটিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। রক্তাক্ত অবস্থায় বাসচালক মিলনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
চালকের সহকারী রনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই উপর্যুপরি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় চালক মিলন ভাইয়ের মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। আমরা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক বাস সার্ভিস রয়েছে। কিন্তু এই নিয়ম অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বহনকারী ‘মিথুন’ বাসে চড়ে দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দ কামরুজ্জামান তরঙ্গ।
বাসটি ক্যাম্পাসে ঢোকার আগ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের বাইরে তরঙ্গকে নেমে যেতে বলেন চালক ও তাঁর সহকারী। কিন্তু তরঙ্গ সেখানে না নেমে ভিতরে নামতে চান। এ নিয়ে বাসচালক মিলনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তরঙ্গ বাস থেকে নেমে কয়েকজন বন্ধুকে ডেকে আনেন। এ সময় তাঁরা বাসচালক ও তাঁর সহকারীকে কিল, ঘুষি ও বুকে লাথি মারতে থাকেন।
পরে আশপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত অবস্থায় বাসচালককে উদ্ধার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তরঙ্গের সঙ্গে থাকা অন্যরা হলেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী যোবায়ের, কম্পিউটার অ্যান্ড সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী জাকিরুল ইসলাম জাকি, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থী আজম ও রিফাত, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুর রহমান টিটু এবং বহিরাগত লিমন।
বাসচালক ও তাঁর সহকারীকে মারধর করার কথা স্বীকার করে সৈয়দ কামরুজ্জামান তরঙ্গ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি বাসে উঠেছিলাম এবং বাস থেকে নামার সময় বাসের চালক ও তাঁর সহকারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। বাসের চালক ও সহকারীর আচরণ ভালো ছিল না। তাই একপর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।’
এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’