অনুমতি ছাড়াই চট্টগ্রামে জামায়াতের বিক্ষোভ, আটক ১২
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সাবেশ করেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে নগরীর চৌমুহনী এলাকায় তারা এই বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর চৌমুহনীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জুমার নামাজের পর আগ্রাবাদ থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় চৌমুহনী এলাকায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য মিছিলের গতিরোধ করার চেষ্টা করে। তখন পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরসহ বেশ কয়েকজন পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়। পরে চৌমুহনীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত ও শিবির সন্দেহে ১২ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, অনুমতি ছাড়াই হঠাৎই এই মিছিল বের করে জামায়াত। এ সময় মিছিলের অনুমতি নেওযার কথা বললে জামায়াতের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) উপকমিশনার (পশ্চিম) জসিম উদ্দিন জানান, জামায়াতের কোতোয়ালি থানা কেন্দ্রিক একটি কর্মসূচি ছিল। সে জন্য আমাদেরও বিভিন্ন মসজিদ ঘিরে প্রস্তুতি ছিল। পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন মসজিদে ভাগ হয়ে নামাজ পড়েছেন। হঠাৎ করে একটি মিছিল আমাদের গাড়িসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এসি ডবলমুরিংয়ের গাড়িও ভাঙচুর করেছে। ইটের আঘাতে এসি ডবলমুরিং আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
জমায়াতে ইসলামী অনুমতি চেয়েছিল কি না জানতে চাইলে উপকমিশনার বলেন, ‘আমরা শুনেছি জামায়াত একটা কর্মসূচি পালন করবে। অনুমতির বিষয়টা সিএমপির হেডকোয়ার্টার দেখে। অনুমতি দিলে আমাদের সিএমপি থেকে জানানো হতো।’
এর আগে গত ২২ জুলাই চট্টগ্রামে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে একাধিকবার আবেদন করে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামী। পুলিশ তা নাকচ করার পর অনুমতি ছাড়াই আজ বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করল তারা।