গুজব প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, গুজব প্রতিরোধে পুলিশের সকল সদস্যকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে, যাতে করে কেউ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে। জনগণের সামনে সত্য উন্মোচন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। সমাজের বিশৃঙ্খলাকারী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। ডিএমপি নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি। পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে। আগামী দিনেও যেকোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের দিন-রাত সব সময়ই কাজ করতে হয়। যেকোনো সময় প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় যেতে হয় পুলিশকে। এজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য–আমাদের কাজে-কর্মে শৃঙ্খলার পরিচয় দিতে হবে। সঠিক বিধি অনুসরণ করে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সারা দেশের মতো রাজধানীতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখা একান্ত প্রয়োজন। বর্তমানে নিত্যনতুন প্রযুক্তির কারণে অপরাধের ধরন অনেক পাল্টে গেছে। এজন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ও মূল অপরাধীকে খুঁজে পেতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।’
রাজধানীর যানজটের প্রসঙ্গ টেনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যানজট নগরবাসীর জন্য একটি অন্যতম বড় সমস্যা। প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা অনেকেই এর জন্য দায়ী। যানজট কমাতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকার যানজটপূর্ণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ইতোমধ্যে ট্রাফিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের অবকাঠামোগুলোকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যাতে করে নগরবাসী এসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।’
সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এক্ষেত্রে অতি উৎসাহী হয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশনা প্রদান করবে, সেই অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।’
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সঠিকভাবে তামিল করতে হবে। ওয়ারেন্টভুক্ত কোনো ব্যক্তি যাতে সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। চুরির মামলা, ছিনতাই মামলা, চোরাই গাড়ি উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স), অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সাইফুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।