কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় দুজন সাত দিনের রিমান্ডে
বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালীন নয়াপল্টন এলাকায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনের সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার এই আদেশ দেন।
এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সালাহ উদ্দিন কাদের আসামি দুইজনকে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শাহ আলম এ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। জিআরও আরও বলেন, রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন পলাশবাড়ী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামীম ওরফে সিংটা শামীম ও সুলতান মিয়া।
নথি থেকে জানা গেছে, গত শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা মামলা হয়েছে।
এছাড়া মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।