মানিকগঞ্জে বিএনপিনেতার বাড়িতে অভিযান, গ্রেপ্তার ১
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের বাড়ির গেটের তালা ও জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অভিযান চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার সরুপাই গ্রামে পুলিশ এ অভিযান চালিয়েছে বলে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
বিএনপিনেতা সাইফুল ইসলাম ঢাকা জজ আদালতে আইন পেশায় কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ি সরুপাই হলেও পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকার সাভারে থাকেন। অভিযানের সময় তিনি ও তার পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না।
গ্রেপ্তার হওয়া রিপন মিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ময়মনসিংহে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। স্ত্রী ও চার বছরের এক কন্যাকে নিয়ে তিনি কর্মস্থল ময়মনসিংহে থাকেন। তবে, বৃহস্পতিবারই তিনি ছুটিতে সরুপাইয়ে আসেন।
স্থানীয়দের বরাতে বিএনপিনেতা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে সদর থানার ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ সদস্য সরুপাই গ্রামে তার বাড়িতে যান। এরপর বাড়ির দুটি টিনের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঘরের বারান্দার গ্রিলের তালা ভাঙেন পুলিশ সদস্যরা। ঘরের ভেতরে দেখভালকারী (কেয়ারটেকার) রিপন মিয়া ঘুমাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ রিপনকে মারধর ও আটক করে। এ সময় ঘরের বারান্দার তালা ও একটি জানালা ভাঙচুর করে পুলিশ। ঘরে ভেতরে থাকা জিনিসপত্র তছনছ করে।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রিপনকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, ‘সম্প্রতি সদর উপজেলার তরা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতেই ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কোনো কিছু ভাঙচুর ও তছনছ কিংবা কাউকে মারধর করা হয়নি।’