সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক তুর্কি ড্রোনের অভিষেক
ইউক্রেনের যে ড্রোনে রুশ বাহিনীকেও পড়তে হয়েছে বিপাকে, তুরস্কের তৈরি সেই বায়রাকটার টিবি২ ড্রোন এবার যোগ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। এর মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। নব সংযুক্ত অত্যাধুনিক এই ছয় ড্রোন সেনাবাহিনীর লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাখবে ভূমিকা।
চট্টগ্রামের আর্মি অ্যাভিয়েশন ফরোয়ার্ড বেসে আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ড্রোনগুলোর উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, আধুনিক এই ড্রোনগুলো এরইমধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে সক্ষমতা দেখিয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে এর চাহিদা। নতুন ড্রোন সংযুক্তিতে ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাপ্রধান জানান, প্রধান ড্রোনটিতে চারটি লেজাট গাইডেড স্মার্ট রকেট সংযুক্ত করা যায়, যা নির্ভুল নিশানা নিশ্চিত করে। ড্রোনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে। এই ড্রোন সংযুক্তির ফলে ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়ল।
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, বেজ স্টেশন থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ড্রোনটি চালানো যায়। এ ছাড়া এতে এমন সেন্সর রয়েছে যাতে জিপিএসের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করেও নেভিগেশন করতে পারে। ফলে এখন স্বশরীরে হাজির না থেকেও অনেক দূর থেকেই টার্গেট পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
জানা গেছে, অত্যাধুনিক এই ড্রোনগুলো ২৫ হাজার ফুট উঁচুতে উড়তে সক্ষম। বিস্ফোরক বহন করতে পারবে ৭০০ কেজি পর্যন্ত। এসব ড্রোন একটানা ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে।