রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে একদিনেই নিহত ৪
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ও রোহিঙ্গারা জানায়, দুদিন আগে বান্দরবানের একটি আদালতে মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটের আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসার প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনি ও তার ৪৯ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এরপর গতকাল উখিয়ার ১৫ নম্বর জামতলী ও ১৭ নম্বর ক্যাম্পে হামলা চালায় আরসার সদস্যরা। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন রোহিঙ্গা মারা যান।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকেলে উখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইমাম হোসেন নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। পরে রাত ৯টার দিকে আরসার একদল সন্ত্রাসী ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকে গিয়ে আবুল কাশেম নামে এক রোহিঙ্গাকে তার বাড়ি থেকে বের করে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আবুল কাশেম ওই ক্যাম্পের আবুল বশরের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ক্যাম্পে আরসার বিরুদ্ধে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। ঘটনার পরপরই এপিবিএন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।’
ওসি শামীম হোসেন আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আরসার ১৫ থেকে ২০ জনের দল উখিয়ার ১৫ নং জামতলীতে আরএসওর সদস্যদের ওপর বন্দুক ও দা-ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এতে চারজন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়। আহতদের ক্যাম্পের এম এস এফ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো. জোবায়ের (১৬) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর আনোয়ার সাদেক (১৭) নামে আরেক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়।’
ওসি শামীম হোসেন বলেন, ‘নিহত মো. জোবায়ের ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি-৩ ব্লকের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং আনোয়ার সাদেক একই ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ শফিকের ছেলে। আহত দুই রোহিঙ্গাকে এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পরপরই এপিবিএন ও থানা পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।’