মিয়ানমারে ৬৯ ড্রাম অকটেন পাচারের সময় আটক ৬
মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টাকালে কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর এলাকায় অকটেন ভর্তি ৬৯টি ড্রামসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব। তারা সবাই জ্বালানি তেল চোরাকারবারি বলে দাবি করেছে বাহিনীটি। এ সময় পাচারকাজে ব্যবহৃত দুটি জিপ গাড়িও জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দরিয়ানগর ব্রিজ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
আজ শনিবার সকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
আটকরা হলেন—উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়ার আয়াজ ওরফে রিয়াজ (২২), মো. এহছান উল্লাহ ওরফে রহমত উল্লাহ (২৩) ও মো. আলী আকবর (৩৮), একই ইউনিয়নের উত্তর সোনার পাড়ার জসিম উদ্দিন (২০) ও পশ্চিম সোনার পাড়ার মো. সোহেল (১৯) এবং রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হিমছড়ি এলাকার মো. দেলোয়ার (২৪)।
আবু সালাম চৌধুরী জানান, সাগরপথে উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্ট ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে অকটেন পাচার করার তথ্য পায় র্যাব। শুক্রবার রাতে গোপন খবরের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর ব্রিজ এলাকায় অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। একপর্যায়ে টেকনাফমুখী দুটি জিপ গাড়ি সেখানে পৌঁছলে র্যাব সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেয়। এরপর গাড়ি দুটিতে থাকা সন্দেহভাজন সাত থেকে আটজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ছয়জনকে আটক করা সম্ভব হয়।
দুটি জিপ গাড়িতে থাকা জ্বালানি তেল অকটেন ভর্তি ৬৯টি ড্রাম পাওয়া যায়। এসব ড্রামে দুই হাজার ৯০০ লিটার অকটেন রয়েছে। জিপ গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উখিয়া উপজেলার একটি পেট্রোল পাম্প থেকে উদ্ধার করা এসব জ্বালানি তেল সংগ্রহ করা হয়েছিল। এসব তেল বেশি মূল্যে বিক্রি করতে সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল তারা।’
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার আবু সালাম।