বিএনপি একটা জনবিচ্ছিন্ন দল : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বিএনপি একটা জনবিচ্ছিন্ন দল হয়ে গেছে। আপনারা তাদের ধ্বংসলীলাগুলো দেখেছেন। তারা শুরু থেকেই একটা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশে ক্ষমতায় এসেছিল। রক্তের গঙ্গা বহিয়ে তাদের দলের উৎপত্তি।’
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জনগণের কথা চিন্তা করে না, তারা দেশের ক্ষমতায় বসতে চায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ তে তারা ইলেকশন না করে ধ্বংসলীলা শুরু করল, মানুষ পুড়িয়ে মারা শুরু করল। এবার আমরা দেখলাম সেই একই কায়দায় তারা রক্তের হোলিখেলা শুরু করল। ২৮ আগস্ট তারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। তাদের নেতা ইংল্যান্ড থেকে দিকনির্দেশনা দেয়, কিন্তু তাদের নেতাকর্মীদের কী হবে সেটা চিন্তা করে না। তাদের ভুল যদি উপলব্ধিতে না আসে তাহলে তাদের অস্তিত থাকবে বলে মনে হয় না।’
গত নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের ভূমিকার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশই তো অনেক কথা বলে, অনেক দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে হয় তা সবার জানা। কোন কোন উন্নত দেশে ২০ থেকে ২৫ পর্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়? আমাদের এখানে ৪২ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলে তো আমাদের কিছু বলার থাকে না। এ দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কী বলল তা আমাদের মুখ্য বিষয় না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মাদকের ঢোপটেস্ট নিয়ে বিধিমালা তৈরি হচ্ছে।
এ সময় কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডে ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরিফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদ আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ পুলিশ কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালমনিরহাটের উদ্দেশে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করেন।