সুপ্রিম কোর্টকেও অপবিত্র করেছে আওয়ামী আইনজীবীরা : রিজভী
‘মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্টকেও আওয়ামী আইনজীবীরা অপবিত্র করেছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মিথ্যা অজুহাতে অবৈধভাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারণ এই নির্বাচনে আইনজীবীদের ভোটের প্রতিফলন ঘটেনি। ভোটের প্রতিফলন ঘটলে এবারও তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ কৃত্রিম সংঘাত সৃষ্টি করেছে। তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে।’
আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী। এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। পরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের নয়াপল্টনের সামনে এসে শেষ হয় বলে জানায় দলটি।
রিজভী বলেন, ‘অ্যাডভোকেট জুতি কার স্ত্রী? যুবলীগ সভাপতির স্ত্রী। তার গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে মারামারি করেছে। আর সরকার কাদের বিরুদ্ধে মামলা করল? যারা এই সংঘাতের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই, কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। মামলা দেওয়া হলো বিএনপি সমর্থিত সুপ্রিম কোর্টের জনপ্রিয় ও মেধাবী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নামে। তাকে গ্রেপ্তার করে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। একজন প্রখ্যাত আইনজীবীকে চার দিনের রিমান্ড, এটা কেবল ডাকাতদের সরকার হলেই করতে পারে। একজন মাফিয়া ও সিন্ডিকেটবাজ সরকারই কেবলমাত্র একজন আইনজীবীকে মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করল, যারা মারামারি করল, হানাহানি করল, তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কারণ তারাও তো শেখ হাসিনার লোক। দেশের সর্বোচ্চ একটা প্রতিষ্ঠান, যেখানে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, সেই সুপ্রিম কোর্টকে অপবিত্র করেছে আওয়ামী আইনজীবীরা। আর গ্রেপ্তার করা হলো রুহুল কুদ্দুস কাজলকে। এই গ্রেপ্তার অবৈধ, এই রিমান্ড অবৈধ। এই মুহূর্তে তার রিমান্ড বাতিল করে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, শেখ মো. শামীম, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আলী আকবর চুন্নু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ রুবেল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলী, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, যুবদল নেতা মঞ্জুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম সনি, শাহ আলম, সেলিম মাস্টার, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক শাহ পরান ও ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলনেতা শাহ আমান উল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।