জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি মালিকপক্ষের, উদ্বেগ বাড়ছে স্বজনদের
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে অপহরণের শিকার হওয়া পণ্যবাহী জাহাজ এমবি আব্দুল্লাহ এবং এর জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি। জলদস্যুদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি জাহাজের মালিকপক্ষ। তবে কিছু কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত নাবিক ও জাহাজটি মুক্ত করার বিষয়ে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি করার তথ্যটি সত্যি নয়। বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
গত ১৪ বছর আগে একই শিল্প গ্রুপের ‘জাহান মনি’ নামে আরেকটি জাহাজ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে প্রায় ৯০ দিন পর উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানায় মালিকপক্ষ।
কেএসআরএম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তাদের সেফজোনে নিয়ে যাওয়ার পর হয়ত যোগাযোগ করবে। জাহাজটি সোমালিয়া বন্দরের আশপাশের এলাকায় যেতে কমপক্ষে আড়াই দিন সময় লাগতে পারে বলেও ধারণা তাদের।
এদিকে, উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে এখনও অনিশ্চিয়তায় রয়েছেন জিম্মি নাবিকদের স্বজনরা। এতে তাদে মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। জিম্মি নাবিকদের মধ্যে জাহাজের চতুর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদের মা জোৎস্না বেগম। তিনি ছেলের ছবি হাতে নিয়ে গতকাল বুধবার এসেছিলেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের কেএসআরএম গ্রুপের কার্যালয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে আমি আমার বুকে ফিরে পেতে চাই। আমার ছেলে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। আমার মানিক আমার বুকে কবে আসবে?’
জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খানের ভাই আবদুর নুর খান আসিফ বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় কথা হয়েছে আমার ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি আমাদের কাছে মোবাইল থেকে ভয়েস বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে আর যোগাযোগ করতে পারেননি। কারণ তার থেকে মোবাইল নিয়ে গেছে জলদস্যুরা।’
যেকোনো মূল্যে অক্ষত অবস্থায় নাবিকদের ফেরত চান তাদের স্বজনরা। এ বিষয়ে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নাবিকদের উদ্ধারের জন্য সব ধরনের যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা নাবিকদের স্বজনদের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি।’