কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এম ভি আবদুল্লাহ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে বহুল আলোচিত সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের এম ভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি। আজ সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাহাজটি সেখানে নোঙর করে।
কুতুবদিয়ায় সাড়ে ১০ হাজার টন চুনাপাথর আনলোড করা হবে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিককে চট্টগ্রামে আনতে চট্টগ্রাম থেকে কুতুবদিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এম ভি মনি।
কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এম ভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে। ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এম ভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ তিন ব্যাগ ডলার এম ভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ তিনটি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিনগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এম ভি আবদুল্লাহ। ২১ এপ্রিল এম ভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহয় পৌঁছে। সেখানে কার্গোটি খালাস করে একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এম ভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এ রকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মনি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তাঁরা।