কেমন আছেন জিম্মি জাহাজের নাবিকরা, উৎকণ্ঠায় স্বজনরা
ভারত মহাসাগর অতিক্রম করার সময় সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া ‘এমভি আব্দুল্লাহ’র জিম্মি নাবিকদের সাথে স্বজনদের তিন দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কোনো নাবিক তাদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। এমনকি জাহাজের মালিকপক্ষও নাবিক কিংবা জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
এতে করে জাহাজ মালিক ও স্বজনদের মাঝে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। তবে, জাহাজের মালিক পক্ষ বলছে, তারা অতীতের ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও জিম্মি থাকা নাবিকদের ছাড়িয়ে আনার অভিজ্ঞতা থাকায় তারা এই সময়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক হলে মনে করছেন। কেননা, এখন পর্যন্ত জনদস্যুরা ছিনতাইকৃত জাহাজ তাদের জন্য নিরাপদ এমন জায়গাতে নোঙর করতে পারেনি। নিরাপদ জায়গাতে নোঙর করতে পারলেই তারা নাবিকদের সাথে পরিবারের যোগাযোগ ও মুক্তিপণ নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কবীর গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম ও জিম্মি নাবিকদের স্বজনের সাথে আলাপ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। জিম্মি নাবিকদের একজন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ডা. আকতার হোসেনের ছেলে আসিফুর রহমান।
আজ সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আসিফের বাবা আকতার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার ছেলে গত তিন দিন ধরে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। অন্য নাবিকদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করেছি, তাঁরাও বলেছে তাদের সন্তানদের সাথেও যোগাযোগ হয়নি। এ অবস্থায় আমাদের উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কবীর গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা বেশ সতর্কতার সাথেই পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি। কোন অঘটন ছাড়াই জিম্মি জাহাজ নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়াও আমরা জিম্মি নাবিকদের স্বজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। এরপর এদিন বিকেলে জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যায়। সেই জাহাজের বাংলাদেশি ২৩ জন নাবিক জিম্মি অবস্থায় রয়েছে।