হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ টানা ছয় দিন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/04/06/hili.jpg)
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ছয়দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে এই কয়দিন কোন পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করবে না। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, কয়েকদিন পর অনুষ্ঠিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ফলে ৯-১৪ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। এ কারণে ছয়দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে একটানা বন্ধের বিষয়টি ভারতের ব্যবসায়ীদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ১৫ এপ্রিল সকাল থেকে পুনরায় শুরু হবে বন্দরের সকল কার্যক্রম।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের সহ-ব্যবস্থাপক এসএম হায়দার জানান, এই কয়দিন সরকারি ছুটির কারণে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য ওঠানামা সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু থাকবে। এ সময় আমদানিকারকরা চাইলে তাদের আমদানিকৃত পণ্যের চালান বন্দর থেকে খালাস করে নিতে পারবেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, যেকোন সরকারি ছুটিতে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মাধ্যমে এই দুই দেশের মধ্যে ভিসাধারী পাসপোর্টযাত্রীরা অন্যান্য দিনের মতো যাতায়াত করতে পারবেন। ইমিগ্রেশনের সকল কার্যক্রম সরকারি ছুটির আওতামুক্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের একজন রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, সরকারি ছুটি ব্যতীত দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ, পণ্যের পরীক্ষায়ণ ও শুল্কায়ন সহ অফিসিয়াল কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিদিন কাস্টমসের পাসপোর্ট ব্যাগেজ শাখায় পাসপোর্ট যাত্রীদের ট্রাভেল ট্যাক্স গ্রহণ কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। ট্রাভেল ট্যাক্স জমা দিয়ে যাত্রীরা প্রতিদিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।