পল্লবীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর পল্লবীতে পাভেল নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার কারণে গত রোববার পাভেলকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পাভেলের সঙ্গে রাজধানীর বাড্ডার হাবিবের পূর্ব শত্রুতা ছিল। সেই শত্রুতার জেরে হাবিবের হাতে কোপ দিয়েছিল পাভেল। এর বদলা নিতে পাভেলকে পল্লবীতে ডাকা হয়। এরপর সেখানে দলবল মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৪৫টি কোপ দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পুকুরে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এরপর হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মো. হাবিব (২৮) এবং তার সহযোগী মো. হানিফ (২৬) ও মো. আনিছন (২২)। গ্রেপ্তার বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি। হাবিব বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারে চাকরি করেন।
পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, পাভেল হাবিবের হাতে কোপ দিয়ে আহত করে ২০২৩ সালে ২৮ ডিসেম্বর। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা হয়। পাভেল গ্রেপ্তার হন, কিন্তু আবার জামিনে বেরিয়ে আসেন। কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন হাবিব। তাকেও কোপানোর পরিকল্পনা করেন হাবিব। বাড্ডায় থাকা বন্ধু তানজীবের সহায়তায় পাভেলকে পল্লবী স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকার পেছনে ডেকে নিয়ে যান হাবিব। সেখানে তারা মাদক সেবন করেন। এরপর হাবিবসহ অন্যরা উপস্থিত হওয়ার পর চাকু ও ছুরি দিয়ে ৪৫টি আঘাত করা হয় পাভেলকে। পরে গুরুতর আহত পাভেলকে গণপূর্তের পুকুরের পানিতে ফেলে দেন তারা। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পাভেলের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, পাভেলও মাদক সেবন ও কারবারে জড়িত ছিলেন। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সবার নামে একাধিক মামলা হয়েছে।
পাভেলকে হত্যার ঘটনায় নিহতের মা পারুল বাদী হয়ে পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলায় হাবিব (২৮), হানিফ (২৬), আনিছ (২২), রায়হান নানু (২২), মিলন (৩৭), ও জনি (২৬) ছাড়া আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
পাভেলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায়। বাবার নাম শায়েস্তা খান। পাভেল থাকতেন বাড্ডার পাঁচতলা বাজার এলাকায়। পাভেল বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।