ধর্ষণ মামলায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ২৮ মে
ঢাকায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগনেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে তুরাগ থানার মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ মে ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান এই আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ রাতে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ রাজধানীর তুরাগ থানায় প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। তাকে জোর করে ওই বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর স্বামী দুবাই প্রবাসী। সেই সুবাদে তিনি বাবার সঙ্গে দক্ষিণখান এলাকায় বাস করেন। দুই মাস আগে বড় মনিরের সঙ্গে তার ফেসবুকে যোগাযোগ হয়। পরিচয়ের সুবাদে বড় মনির তাকে ‘ছোট বোন’ বলে ডাকতেন। এরপর থেকে ভিকটিমের সঙ্গে বড় মনির ফোনে কথা বলতেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমকে বড় মনির জানান, তার বাড়ি টাঙ্গাইলে। গত ২৮ মার্চ রাত ১০টায় উত্তরা হাউজ বিল্ডিং মাসকট প্লাজার পেছনে এসে ভুক্তভোগীকে ফোন দেন বড় মনি। তিনি বলেন, আপু আমি তো ঢাকায় এসেছি? তুমি কি আমার সঙ্গে একটু দেখা করতে পারবা? আমি সকালে টাঙ্গাইল চলে যাব। পরে ভুক্তভোগী মাসকট প্লাজার পেছনে এসে বড় মনিরের সঙ্গে দেখা করে। বড় মনির তার গাড়িতে তাকে ওঠান। তার সঙ্গে কথা শেষে বাসার সামনে নামিয়ে দেন।
এর পরদিন ২৯ মার্চ বিকেলে উত্তরা জমজম টাওয়ারের সামনে ভুক্তভোগীকে থাকতে ফোন দিয়ে বলেন বড় মনির। সেই অনুযায়ী তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জমজম টাওয়ারের সামনে আসেন। এর ঠিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর বড় মনির রিকশাযোগে আসেন এবং তাকে রিকশায় করে তুরাগ থানা এলাকার প্রিয়াংকা সিটি নামে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বড় মনির।
এর আগে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় তিনি এখন জামিনে আছেন।