প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহারকারীদের দূষণের জন্য দায়ী করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, যারা প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার করবে, তাদেরকে দূষণের জন্য দায়ী করা হবে। আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৪ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৪ উপলক্ষ্যে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ১০টি নদী সবচেয়ে বেশি দূষিত। এরাই সবচেয়ে বেশি দূষণ বহন করছে। এরমধ্যে দুটো বাংলাদেশের—পদ্মা ও যমুনা। এখানে শুধু আমাদের দেশের পলিথিন ও প্লাস্টিক না, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোরও দূষণ আছে। আমাদের যে অবস্থান, তাতে এসব দূষণ আমাদের নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ১০০ দিনের কর্মসূচিতে এক্সটেন্ডেন্ট প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটির কথা আছে। অর্থাৎ যারা প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করবে, তাদের আমরা দূষণের জন্য দায়ী করবো। এজন্য তাদের একটি অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণ করে দেব। উৎপাদন ও নকশায় কীভাবে তারা প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আনবে, সেটাও বলা হবে। আমাদের ১০০ দিনের কর্মসূচিতে বলেছিলাম, চলতি মাসের মধ্যেই এ সংক্রান্ত খসড়া চূড়ান্ত করবো, আমাদের সেই কাজ চলছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই ইপিআরের খসড়া বড়ো বড়ো কোম্পানিগুলো ও চেম্বারের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা যখন প্লাস্টিকের কথা বলি, সেটা ইপিআর পরবর্তী সার্কুলার ইকনোমির সঙ্গে জড়িত। আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরের কোন কোন জায়গায় আমরা বনায়ন করতে পারি, কী কী গাছ লাগাতে পারি, তা ঠিক করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ, পূর্ত মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মিলে আমরা একটা ছক দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। আমরা সবুজ এলাকা হারিয়েছি, জলাশয়ও নেই। কাজেই আমরা মনে করি, নগর উন্নয়নে আমাদের যে মূল পরিকল্পনা আছে, সেটার মধ্যে এসবও নিয়ে আসতে হবে।’