বাকশাল থেকে আ.লীগকে মুক্তি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : মির্জা আব্বাস
‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশালের পেট থেকে আওয়ামী লীগকে মুক্তি দিয়েছিলেন’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। গতকাল সোমবার (২ জুলাই) বিকেলে গাজীপুর জেলা শহরের রথখোলা এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
‘বেগম খালেদা জিয়া দেশে প্রথম সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন’ দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দাসত্বের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা বলতে চাই, বিএনপি দাসত্বের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় না। বরং, আপনারা দাসখত লিখে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘দেশটা খুব খারাপ অবস্থায় আছে। বেগম খালেদা জিয়া যেমন অসুস্থ, তেমনি সারা বাংলাদেশ আজ অসুস্থ। বাংলাদেশের চারদিক থেকে বিদেশি শক্তি অক্টোপাসের মতো আমাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এদের থাবা থেকে আমাদের বাঁচতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ভারত গিয়ে যে চুক্তি করে এসেছেন, সে চুক্তি দিয়ে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ হাসিল হয়নি। ভারত আমাদের সারা বাংলাদেশের ৫৪টি নদীর মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। ফারাক্কায় বাঁধ দিয়ে আমাদের নদী শুকিয়ে দিয়েছে, পানি নেই। তিস্তা বাঁধ দিয়ে আমাদের পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সে সম্পর্কে কোনো কথাবার্তা নেই। দাসখত দিয়ে যারা ক্ষমতায় থাকতে চায় তারা আজকে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে নেমেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রেখেছে বাংলাদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে।’ তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।
এর আগে মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ সমাবেশে যোগ দেন। গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ূন কবীর, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, মেয়র মজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানসহ অন্যান্যরা।