নরসিংদীতে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ
নরসিংদীর রায়পুরায় পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৮ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মেথিকান্দার রেলগেটের দুই কিলোমিটার দূরে পলাশতলী ইউনিয়নের খাকচর কমলপুর এলাকায় চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মেইল ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচজনের মৃ্ত্যু হয়। দুপুরে পৌনে ১২টার দিকে উৎসুক এক ব্যক্তি পাঁচজন নিহতের খবরে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় মেথিকান্দার রেলগেট এলাকায় গেলে ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিহতদের নাম—পরিচয় জানা যায়নি। তবে, পরিচয় শনাক্তের জন্য তাদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রায়পুরার মেথিকান্দার রেলগেইটের পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুরে রেল লাইনের পাশে ছিন্নবিচ্ছিন্ন পাঁচটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রেল পুলিশ, পিবিআই ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধারে কাজ শুরু করে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার খবরে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আরেকজন।
প্রতক্ষ্যদশী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকালে রেল লাইনের পাশে দেখি মানুষের শরীরের বিচ্ছিন্ন কিছু অংশ ও রক্ত। একটু সামনে এগুতেই মরদেহ দেখা যায়। পরে আরও একটু সামনে গেলে চারটি মরদেহ দেখা যায়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শরীরগুলো একত্র করেছি। এরপরই পরিচয় শনাক্তের জন্য নরসিংদীর পিবিআই সদস্যদের খবর দিয়েছি। বেলা সাড়ে ১১টায় তারা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
মেথিকান্দা স্টেশনের স্টেশনমাস্টার আশরাফ আলী বলেন, নিহতরা ট্রেনের ছাদ থেকে পিছলে পড়ে কাটা পড়েছেন, না কি রেললাইনে বসে থাকা অবস্থায় কাটা পড়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন রেলওয়ের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে পিবিআই। তাদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে এর কারণ অনুসন্ধান চলছে।