বেনজীর আহমেদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, যা হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে।
আজ রোববার (২৮ জুলাই) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আগামীকাল সোমবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে, ২৩ এপ্রিল সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক যে কমিটি গঠন করেছে, তার অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছিল হাইকোর্ট। আদালত কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সারওয়ার হোসেন ও মনোজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও মো. সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সেদিন রিটকারীর আইনজীবী এম সারওয়ার হোসেন বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, প্রতিবেদন প্রকাশের পরও দুদক সউদ্যোগে অনুসন্ধান শুরু করেনি। তাই, গত ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অনুসন্ধানের অনুরোধ করেন। কাজ না হওয়ায় ১৮ এপ্রিল আইনি নোটিশ দেওয়া হয় এবং ২১ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয় এবং দুদক চেয়ারম্যান, কমিশনার (তদন্ত), কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয়।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে ৩১ মার্চ এবং ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে ২ এপ্রিল দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপরই এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে বলা হয় দুদককে।