আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি হাজারো মানুষ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/08/22/akhaura.jpg)
ভারী বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল বুধরাত (২১ আগস্ট) রাত থেকে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ এই চার ইউনিয়নের ৩৪টির বেশি গ্রাম পানিবন্দি রয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ পরিবার। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানের জমি, শাক-সবজির জমিসহ বিভিন্ন মাছের ঘের।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বুধবার সকাল থেকে বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। একপর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৪টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম বলেন, হাওড়া নদী ও জাজী গাংসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। তা অতিক্রম করলে আরও নতুন করে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন বলেন, ‘দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গতদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে ১৯৫ হেক্টর শাক-সবজির জমি, ১২২ হেক্টর আমনের বীজতলা, তিন হাজার ৪৪০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি পানিতে নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে। এক সপ্তাহ পর ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।’