শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ সৈকতকে (১৭) গুলি করে হত্যার ঘটনায় তার বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল গনিসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হযয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও আসামির তালিকায় তিন সাংবাদিকের নামও রয়েছে।
এরা হচ্ছেন, সাভার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ নিউজ নামের অন লাইন পোর্টালের সাংবাদিক মিঠুন সরকার, সাভার প্রেসক্লাবের সদস্য তোফা সানি ও সম্প্রতি মাইটিভি থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত আপেল মাহমুদ।
এর আগে আশুলিয়া থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত এক শিক্ষার্থীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাহিদ হাসান শাকিল নামে এটিএন নিউজ ও দৈনিক কালের কন্ঠে কর্মরত এক সাংবাদিককে আসামি করা হয়। পরে তাকে এটিএন নিউজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমি আমার একমাত্র সন্তান হত্যার বিচার চাই, বিচারের নামে কোনো প্রহসন দেখতে চাই না।’
গত ৫ আগষ্ট বিকেলে সাভার থানার অদূরে মুক্তির মোড়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ সৈকত (১৭)। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা সৈকতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ধামরাই থানায় শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আসামি ৮২
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বেনজির আহমেদকে প্রধান আসামি করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত শিক্ষার্থীর নানা আজিম উদ্দিন।
ওই মামলায় সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক, ধামরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম কবীর মোল্লা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন, শিল্পপতি আহম্মদ আল জামানসহ আওয়ামী লীগের ৮২ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধামরাই হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারপিট ও গুলিবর্ষণ করে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন আফিকুল ইসলাম সাদ। সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তিন দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ আগস্ট মারা যান কলেজ শিক্ষার্থী আফিকুল ইসলাম সাদ।