বন্যা-পানির চাপে ভেঙে গেছে ডাকাতিয়া নদীর স্লুইসগেট
ভারত থেকে নেমে আসা বন্যার পানির চাপে ভেঙে গেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর (স্লুইসগেট)। এর ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে আতঙ্কে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’
স্থানীয়রা জানায়, ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ডাকাতিয়া নদীর মুখে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। শেষ হয় ২০০৯ সালে। এতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর, চরপার্বতী, চরহাজারী ইউনিয়ন নদী ভাঙা এবং অতিরিক্ত জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পায়। আজ সকালের দিকে প্রথমে রেগুলেটরে একটু ফাটল দেখা দেয়। এরপর সকাল ১০টার দিকে রেগুলেটরের মাঝ খানের অংশ ভেঙে যায়। একপর্যায়ে পুরো রেগুলেটর ভেঙে ডাকাতিয়া নদীতে তলিয়ে যায়।
এর আগে, গত ২৪ আগস্ট নোয়াখালীর বন্যার পানি নামাতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটরের তিন মিটার বাই তিন মিটার আয়তনের ২৩টি গেটের সবই গেট খুলে দেওয়া হয়। ফলে কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন বলেন, চার বছর ধরে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর ও তাঁর ছোট ভাই জলদস্যু জালাল মুছাপুর রেগুলেটর এলাকার ডাকাতিয়া নদী থেকে অন্তত ৫০ কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে। ওই বালু উত্তোলনের ফলে আজ মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে তলিয়ে যায়।
শাহীন অভিযোগ করে আরও বলেন, বালু উত্তোলনের টাকার ভাগ পেতেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জার স্ত্রী আক্তার জাহান বকুল ও তাঁর ছেলে তাশিক মির্জা কাদের।
সাবেক এই চেয়ারম্যান এ ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্ব আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।