পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ, বন্যার্তদের সহযোগিতায় লক্ষ্যমাত্রা বাড়াল আস-সুন্নাহ
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ডুবে আছে পানিতে। কোথাও কোথাও কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে, দুর্ভোগ কমেনি। ত্রাণ কার্যক্রম চলছে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে। অন্যান্যদের পাশাাপশি বন্যার্তদের পাশে আছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনও। ফাউন্ডেশনটি সহযোগিতার লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়িয়েছে। আজ বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করেন তারা।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশরে প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) লিখেছেন, দুর্গতদের কাছে আপনাদের আমানত পৌঁছে দিতে আজ গিয়েছিলাম লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার শান্তিরহাটে। এ ছাড়া আজ নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের বেশ কিছু জায়গায়ও ত্রাণ বিতরণ করেছি।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পেজে দুটি পৃথক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘বন্যায় গরু নিয়ে বিপাকে পড়া চাষিদের পাশে আছি আমরা, গরুর ভুসি নিয়ে।’ এই কার্যক্রম চলে কুমিল্লার লাকসামের জগৎপুরে। অপর পোস্টে লক্ষ্মীপুরের চরকাদিরার কমলনগরের ছবি তুলে ধরে লেখা হয়েছে, ‘সূর্য ডোবার আগেই পৌঁছতে হবে ওই পারে, ওখানে কিছু পানিবন্দি মানুষ অপেক্ষায় আছেন আমাদের।’
শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, শত কোটি টাকার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করার স্বপ্ন দেখছি আমরা। দশ কেজির প্যাকেজে ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের পাশাপাশি ৫০ হাজার পরিবারের জন্য চাল-ডাল-তেল ইত্যাদি বিতরণের পরিকল্পনা ছিল আমাদের। সেই লক্ষ্যমাত্রা বর্ধিত করে আমরা এক লাখে উন্নীত করেছি। পানি কমে গেলে ৫০ হাজার পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণের পরিকল্পনা ছিল। সেটা বেড়ে ৭০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় গৃহহারা পাঁচ হাজার পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্প যথারীতি থাকছেই, ইনশা আল্লাহ।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং কৃষককে সুদি কিংবা সুদমুক্ত ঋণের পরিবর্তে সম্পূর্ণ নগদ অর্থ সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেইসঙ্গে বন্যায় মৃত্যুবরণকারী অসহায় পরিবারের উপার্জনের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগও আমরা হাতে নেব, ইনশা আল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদেরকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন।’
জানা গেছে, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক শিক্ষা, দাওয়াহ ও পূর্ণত মানবকল্যাণে নিবেদিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান মানবতার শিক্ষক, মানুষের মুক্তি ও শান্তির দূত, মানবসেবার আদর্শ, মহানবী মুহাম্মদ সা.-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, মহত্তম নীতিচেতনার সঞ্চার, কর্মসংস্থান তৈরি, দারিদ্র্য বিমোচন, ইসলামী তমদ্দুনের প্রসার, বহুমুখী শিক্ষায়ন প্রকল্প পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণ, স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, পরিচ্ছন্ন মানসিকতা গঠনে নিরন্তর নানা কর্মসূচি পালন, সর্বোপরি মৌখিক, লৈখিক ও আধুনিক সকল প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষকে মহান আল্লাহর আনুগত্য ও তাঁর রাসূলের অনুকরণে সত্য ও শান্তির পথে ডেকে এনে একটি আদর্শ কল্যাণসমাজ বিনির্মাণে যথাশক্তি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।