ইয়াসিন হত্যা : পুলিশ কর্মকর্তা কাফী রিমান্ডে
সাভারে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহহিল কাফীর পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুডিসিয়াল মো. জুলহাস উদ্দীন এ আদেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এদিন অপহরণের মামলায় আটদিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে পুলিশ। এরপর সাভারের ইয়ামিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহহিল কাফীকে আটক করেন ডিবি সদস্যরা। পরদিন রাজধানীর হাজারীবাগ থানার অপহরণের মামলায় আটদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। ২৫ আগস্ট ইয়ামিনের বাবা আব্দুল্লাহ আল কাবির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মলনে আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এতে তিনি বাংলদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আন্দোলনকারীদের নির্মূলের নির্দেশ দেন। আসামি ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনকারী ছাত্রদের নির্মূল করার জন্য ছাত্রলীগ যথেষ্ট।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই দুপুর দেড়টায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সম্মিলিতভাবে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। তারা শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের কাছে নিয়ে বুকের বামপাশে গুলি করে। সে সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ইয়ামিনকে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর ফেলে রেখে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ভীতি প্রর্দশনের জন্য গাড়িটি চালাতে থাকে।
পরে ইয়ামিনকে প্রায় মৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেয় এবং সাজোয়া যানের ভেতর থেকে একজন পুলিশ সদস্য বের হয়ে তার পায়ে পুনরায় গুলির নির্দেশ দেন। ওই পুলিশ সদস্য ইয়ামিনকে মৃত ভেবে গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেন। পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ শাইখ ইয়ামিনকে ধরাধরি করে উঁচু রোড ডিভাইডারের এক পাশ হতে আরেক পাশে ছুড়ে ফেলেন।