নোয়াখালী ও যশোরের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
নিজ ও পরিবারের নামে অঢেল সম্পদ অর্জন এবং সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আয়েশা ফেরদৌস ও যশোর-৪ আসনের সাবেক এমপি রণজিৎ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে হাতিয়া বাজারে বহুতল ভবন, ভূইয়ার হাট নামক স্থানে তিনতলা বাড়ি, পুশালী বাজারে চারতলা মার্কেট। তার স্বামী জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী। তার নামেও রয়েছে বিপুল নগদ অর্থ, ব্যাংকে টাকা, গাড়ি ও মৎস্য ব্যবসাসহ নানা সম্পদ।
২০০৯ সালের আগে আয়েশা ফেরদৌস ছিলেন একজন গৃহিণী। তার আয়ের কোনো উৎস ছিল না। পরে এমপি নির্বাচিত হয়ে তার নিজ নামে ও নির্ভরশীলদের নামে দেশ-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, যশোর-৪ আসনের সাবেক এমপি রণজিৎ কুমার রায়সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। নিজ নামে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে ৭০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫ তোলা স্বর্ণ। পরে ২০২৩ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ছেলে রাজিব কুমার রায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি কাজের জন্য ৫ শতাংশ হারে কমিশন গ্রহণ; তার নিজ ও ছেলের নামে ভারতের সল্টলেক এলাকায় বাড়ি; ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জমি দখল, মানিলন্ডারিং, নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে তার দেশ-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।