জমি নিয়ে বিরোধে স্কুলশিক্ষক হত্যা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঞ্চল্যকর স্কুলশিক্ষক আরিফ হত্যা এবং বস্তাবন্দি করে লাশ গুমের ঘটনার মামলার প্রধান আসামি পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) গভীর রাতে র্যাব-১৫ ও র্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে। আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্কুলশিক্ষক আরিফের সঙ্গে প্রতিবেশী পেকুয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীরের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জেরে গত ৫ আগস্টের পর আরিফকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে জাহাঙ্গীর। তিনি এবং তার অপর সহযোগী রুবেল গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দুই সপ্তাহ ধরে চলমান অভিযানের মাধ্যমে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে এবং মূলহোতা ও প্রধান পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি অধ্যক্ষ আরিফকে অপহরণ করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, এরপর হত্যা ও বস্তাবন্দি করে পুকুরে লাশ গুম করার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ চলমান রয়েছে।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্কুলশিক্ষক আরিফকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ১৪ দিন পর গত ১১ অক্টোবর আরিফের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে আরিফের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।