শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবু সাঈদ, শহীদ পরিবারে ফের কান্নার রোল
রংপুরে সহ-বিপ্লবীদের বাঁচাতে পুলিশদের নিরস্ত্রের আহ্বান জানিয়ে দুই হাত উঁচু করে নিজের বুকে গুলি হজম করেছিলেন আবু সাঈদ। জীবন দিয়ে গণ-আন্দোলনে বিপ্লবীদের শক্তি ও সাহস যোগান এই মেধাবী। শহীদ হওয়ার তিন মাস না পার হতেই মেধার পরিচয় পেলেন জনতা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায়।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রকাশিত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের নাম দেখা যায়। তার রোল নম্বর ছিল ২০১২৫৬২৯৭।
এই সংবাদটি খুশির হতে পারত রংপুর পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের আবু সাঈদের পরিবারের জন্য। অথচ, আজ তা বিষাদে পূর্ণ। যদিও গর্বিত শহীদ আবু সাঈদের বাবা, মা, ভাই, বোন। তবে, আজ ফের কান্নায় ভেসে তার বাড়িতে তৈরি হলো হৃদয়বিদারক পরিবেশ।
নিহত মেধাবি সন্তান আবু সাঈদ শিক্ষকতার নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেছে এ খবর শুনে বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগম, ছোট বোন সুমি খাতুন ও ভাই রমজান আলী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের কান্নার শব্দ শুনে পাড়া-প্রতিবেশী ছুটে আসেন। ফলাফল জানতে পেরে তারাও আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ে।
এ সময় আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, ‘আমাদের পরিবারে পুরো লেখাপড়া করা ছোট ভাই আবু সাঈদ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। যা আজকের প্রকাশিত ফলাফলে আরেকবার প্রমাণ হলো।’
আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, মৃত্যুর আগে সন্তান হত্যার বিচার দেখে যেতে চাই।