আজিজ খানের সীমাহীন দুর্নীতির পেছনের কারিগর ফারুক খান : পিপি
বিএনপিকর্মী হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানের দুদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যা এই আদেশ দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ দুই বছর আগে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের সময় গুলিতে মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন রিমান্ড শুনানিতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অনেকেরই প্রশ্ন ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন? এই আসামি সেই পরিবারের খুব কাছের সদস্য। তিনি সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খানের ভাই। যে আজিজ খান দেশ থেকে কুইক রেন্টালের নামে প্রায় ১০০ লাখ কোটি টাকা পাচার করে সিঙ্গাপুরের মতো দেশের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি নির্বাচিত হয়েছেন। আজিজ খানের এত সীমাহীন দুর্নীতির পেছনের কারিগর হলেন এ আসামি ফারুক খান।
অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ফারুক খানের বয়স ৭৩ বছর। তিনি নানাবিধ জটিল রোগে ভুগছেন। তিনি জীবনের তোয়াক্কা না করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। তাকে সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো আভিযোগ নেই। শুনানি শেষে বিচারা রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সিএমএইচ এলাকা থেকে র্যাব-১ এর মেজর আবীরের নেতৃত্বে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর আগে ৭ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় মাহফুজুর রহমান নামের একজন গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।