ময়মনসিংহে পেট্রলপাম্পে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২
ময়মনসিংহ মহানগরীর রহমতপুরে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ সাতজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের নগরীর রহমতপুর বাইপাস মোড়ে আজহার ফিলিং স্টেশন ও ইন্ট্রাকো সিএনজি গ্যাস পাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মো. হিমেল (২৫) নামে এক প্রাইভেটকারচালকের মৃত্যু হয়েছে। হিমেল রহমতপুর এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহমতপুরের মৃত ইসমাইলের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৮৫) মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় গ্যাস দেওয়ার সময় গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকে অটোরিকসায় আগুন ধরে যায়। এ সময় গ্যাসের জন্য অপেক্ষমাণ একটি প্রাইভেট কারেও আগুন ধরে যায়। এতে প্রাইভেটকারের চালক মো. হিমেল (২৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় বেশ কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ হন।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে মযমনসিংহ, মুক্তাগাছা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান জানান, ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হিমেল নামে এক যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যান। অগ্নিদগ্ধ রহমতপুরের আরিফ হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন (৪৫), মৃত ইসমাইলের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৮৫) ও জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মালেকসহ (৫০) আটজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুস মারা যান।
সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।