বান্দরবানে মাসজুড়ে হোটেল-রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁয় বড় ছাড়
বান্দরবানে দীর্ঘদিন পর পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ায় পর্যটকদের বরণে হোটেল-রিসোর্ট-রেস্তোরাঁ ও পরিবহণ খাতে মাসব্যাপী বিভিন্ন মাত্রায় ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে আবাসিক হোটেলে ৩৫ শতাংশ, রিসোর্টে ২৫ শতাংশ, রেস্টুরেন্টে ১০ শতাংশ ও পর্যটকদের পরিবহণে ২০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টায় জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় হোটেল গ্র্যান্ডভ্যালীর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে হোটেল-রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন পুরো নভেম্বর মাসের জন্য বিশেষ ছাড়ের এ ঘোষণা দেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট জিপগাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম, জেলা রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, ন্যাচারাল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওসমান গনি, কিউবি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী মফিজুল ইসলাম মামুন উপস্থিত ছিলেন।
বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্যটন সংশ্লিষ্ট জেলা সদরের ১৭টি সংগঠন পর্যটকদের বরণে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। অতীতে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ছাড় দেন অফ টাইমে। কিন্তু নভেম্বর মাসে পর্যটনের ভরা মৌসুমে বিশেষ ছাড়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে পর্যটকরা ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করবেন এমনটি প্রত্যাশা। ছাড়ের বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সংগঠন।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট সমন্বয় পরিষদের সভাপতি নাছিরুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন পর চারটি উপজেলায় পর্যটনকেন্দ্র খুলেছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের খবর। তাই পর্যটকদের বরণে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছাড় ঘোষণা করেছেন। প্রশাসন ও সেনাবাহিনী পরিচালিত পর্যটন স্পটগুলোতে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। পর্যটকরা যেন ভ্রমণে এসে নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে, দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে বান্দরবান সদর, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি চারটি উপজেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। অনিবার্য কারণবশত গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে স্থানীয় প্রশাসন। এ বিধিনিষেধ গতকাল ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বলবৎ ছিল।