চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি : ডাকাত সর্দারসহ দুজন গ্রেপ্তার

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে একজনকে নেত্রকোনা ও অপরজনকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ঢাকা জেলার আশুলিয়ার পশ্চিম পলাশবাড়ি এলাকার মো. আলমগীর ও তার সহোদর মো. রাজিব হোসেন। তারা আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি দেশীয় অস্ত্র, নগদ চার হাজার ২১০ টাকা, দুটি রুপার আংটি, বিভিন্ন মডেলের ১০টি মোবাইলফোন, নারী যাত্রীদের থেকে লুণ্ঠিত পাঁচ জোড়া চুড়ি, তিনটি ব্যাগ, যাত্রীদের এনআইডি কার্ড ও এটিএম কার্ড।
এর আগে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে মির্জাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় ডাকাতদল। এ ছাড়া শ্লীলতাহানি করা হয় দুই নারী যাত্রীকে। এরপর কয়েকজন যাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে ডাকাতির ঘটনা তুলে ধরেন। পরে যাত্রীবাহী বাসটি নাটোরে পৌঁছালে এ জেলার বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চান যাত্রীরা। বাস যাত্রীদের হাতে আটক হওয়া বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে ঘটনাস্থল টাঙ্গাইল জেলায় হওয়ায় সেখানে মামলা করার পরমার্শ দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম। কিন্তু এ ঘটনায় কোনো মামলা না হওয়ায় পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে পাঠালে জামিনে মুক্ত হন তারা।
গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সময়মতো অবহিত না করায় ওসি সিরাজুল ইসলামকে ক্লোজড করে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার দায়ে মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িত তিনজনকে সাভার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। আদালতে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপরজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।