ওসির চেষ্টায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশু চাঁদনী ফিরে গেল পরিবারে

সাধারণ মানুষের আশা-ভরসার জায়গা হচ্ছে থানা ও পুলিশ। এটা আবার প্রমাণ করেছেন কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম। হারিয়ে যাওয়া বাকপ্রতিবন্ধী শিশু চাঁদনিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইটনা থানায় বাকপ্রতিবন্ধী চাঁদনীর বাবা মো. জসিম মিয়া এবং মা মোছা. বেগম আক্তারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গতকাল দুপুরে বাকপ্রতিবন্ধী চাঁদনী একা একা হেঁটে ইটনা থেকে মিঠামইন থানায় গিয়ে ওসির রুমে ঢুকে। তখন ওসি শফিউল আলম নাম, ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে জানা যায় সে বাকপ্রতিবন্ধী। তখন শিশু চাঁদনীকে মহিলা পুলিশের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে খাওয়া-দাওয়া-থাকার ব্যবস্থা করেন তিনি। এরপর মেয়েটির ছবি বিভিন্ন থানা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালান। এরপর ওসি শফিউল আলম বাজিতপুর উপজেলা থেকে বাকপ্রতিবন্ধীদের কথা বুঝতে পারেন এমন দুজন লোক এনে তাদের সঙ্গে শিশু চাঁদনীকে কথা বলতে বলেন। চাঁদনীর হাতের ইশারা ইঙ্গিতে বুঝায় তার বাড়ি বাড়ি ইটনার দিকে। এরপর তাকে নিয়ে ওসি শফিউল আলম ইটনার পথে রওনা হন। অনেক ঘোরাঘুরি করে জানা যায়, তার বাড়ি ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের এরশাদনগর। এরপর চাঁদনির পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করেন মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম ও ইটনা থানার ওসি মো. জাফর ইকবাল।
চাঁদনির বাবা জসিম বলেন, বাড়ি থেকে অভিমান করে লুকিয়ে চলে গেছিল সে। আমরা বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। আমার তিন মেয়ের মধ্যে দুজনই বাকপ্রতিবন্ধী। তারা খুবই রাগী স্বভাবের। কিছু বললেই উল্টাপাল্টা কাজ করে।
মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া মেয়েটাকে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি। মেয়েটা আমার রুমে যাওয়ার পর যখন দেখলাম বাকপ্রতিবন্ধী তখন খুব চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। বাজিতপুর থেকে বাকপ্রতিবন্ধীদের কথা বুঝতে পারে এমন দুজনকে এনে তারপর অনেক পরিশ্রম করে খোঁজখবর নিয়ে তার পরিবারের সন্ধান পেয়ে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি।