জামায়াতের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে ভিন্নধর্মীদের আহ্বান

দেশের ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রীতি সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন রাজনীতি করতে চাই না, যেখানে সামনে এসে সম্মান করবে, পেছনে গালি দিবে। বরং আমরা এমন রাজনীতি করতে চাই—যেখানে আমাদের চরম বন্ধুরা আমাদের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিবে। পেছনে গিয়ে প্রশংসা কবে।
জামায়াত আমির আরও বলেন, আসুন আপনারা আগামীতে জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে নির্বাচন করুন। জামায়াতের ব্যানারে আমরা আপনাদের মানুষের কাছে নিয়ে যাব। জামায়াতের ব্যানারে আপনাদের স্বাগতম। আর যদি আপনারা না আসতে চান, তাহলে আমরা আপনাদের ভালোবাসার জায়গাটা চাই। ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়, এ দেশের মানুষের জন্য, এই দেশের জন্য।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমার কাউকে খুশি করার বা ভয় করার লক্ষ্য নেই। আমি এক আল্লাহকে খুশি করতে চাই। আমি কোনো মবের পক্ষে নই। অন্যের সন্তান করলে (মব সৃষ্টি) সেটা সন্ত্রাস, আমার ছেলে করলে সেটা ভালো; এই নীতি আমি মানি না। আমার সন্তান করলেও সেটা সন্ত্রাস। তাই আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, আপনারা যদি আমাদের কাজে গরমিল দেখেন, তাহলে আসবেন না। আমরা আপনাদের স্বাগতম জানিয়ে গেলাম। আমরা আপনাদের কাছে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা চাই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। সবাই মিলে বাংলাদেশকে গড়তে চাই।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর সুকুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ঘোষ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি দীনবন্ধু রায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, হিন্দু মহাজোট নেতা গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, খ্রিসনদের ধর্মগুরু পাস্টর তপন রোজারিও, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের নেতা রিকন কোমল বড়ুয়া, সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি নিভাষ চন্দ্র মাঝিসহ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মের বিভিন্ন নেতারা।