এফডিসিতে ভাঙা হচ্ছে শুটিং ফ্লোর, নির্মাণ হবে বহুতল ভবন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) দুটি শুটিং ফ্লোর ও পুরোনো এডিটিংয়ের দুটি ভবন ভাঙা হচ্ছে। গত রোববার থেকে ভবনগুলো ভাঙা শুরু হয়। সেখানে নির্মাণ করা হবে বহুতল ভবন। বিএফডিসির মূল কার্যালয়ের পাশাপাশি এই ভবনে থাকবে শপিং মল, সুইমিং পুল, ব্যায়ামাগার ও মাল্টিপ্লেক্স।
বিএফডিসির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও যুগ্ম সচিব নুজহাত ইয়াসমিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বছর দুয়েক আগে এফডিসিতে বহুতল ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই আলোকেই এখন পুরাতন মেয়াদোত্তীর্ণ দুটি শুটিং ফ্লোর, পুরাতন এডিটিং ভবনসহ একটি অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখানে নির্মাণ করা হবে এফডিসির বহুতল বাণিজ্যিক ভবন।’
নুজহাত ইয়াসমিন আরো বলেন, ‘আসলে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বেশ কিছু উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে এফডিসিতে যেমন বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে, তেমনি বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি গাজীপুরের কবিরপুরেও কিছু উন্নয়ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরো কিছু উন্নয়ন সেখানে করা হবে। সেখানে আধুনিক মানের শুটিং করার জন্য লোকেশন তৈরি হচ্ছে। সেখানেই মূলত শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এফডিসিতে যেহেতু জায়গা কম, তাই এখানে শুটিং ফ্লোরগুলোতে শুট হবে, প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন চত্বরসহ পুরো এফডিসিকে শুটিংয়ের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন সব নির্মাতা। এখানে ডাবিং-এডিটিংয়ের আধুনিক সব ব্যবস্থা থাকবে।’
১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু, পরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি) ‘পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বিল, ১৯৫৭’ পেশ করেন। ৩ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে বিল পাসের মাধ্যমে ‘পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন’ প্রতিষ্ঠার আইন পাস হয়। আইনটি ১৯ জুন, ১৯৫৭ থেকে কার্যকর হয়। ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশে কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি পায়নি। ১৯৫৯ সাল থেকে এফডিসি থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ হতে থাকে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের প্রথম চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক ছিলেন যথাক্রমে আবুল খায়ের (১৯৫৭-৫৮) ও নাজীর আহমদ (১৯৫৭-৬২)।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই সংস্থার নাম বদল করে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন’ করা হয়।