কৃষকের ঈদ আনন্দ
করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে পৃথিবীর মানুষের স্বস্তি। বাংলাদেশের মানুষও গত পাঁচ মাস ধরে লড়ে যাচ্ছে এই অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে। লাখ লাখ মানুষ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে হারিয়েছি অনেককে।
স্থবির অর্থনীতির একমাত্র হাতিয়ার কৃষি। এর মধ্যেও হানা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। দেশের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বন্যায়। যেন দুর্যোগের শেষ নেই, শেষ নেই দুর্দিনের। সভ্যতার সূচনা থেকে মানুষকে সব সময়ই মোকাবিলা করতে হয়েছে দুঃসময়ের। জীবন মানেই এক যুদ্ধ, টিকে থাকার জন্য প্রতিনিয়তই লড়ে যেতে হয় প্রকৃতির সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে। ফলে বলা যায় জীবন মূলত আনন্দ-বেদনার মিলনগাথা।
বিশেষ করে বাংলাদেশের কৃষকের জীবন এক দক্ষ যোদ্ধার জীবন। শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে মাটির বুক চিরে ঠিকই ফলিয়ে আনছে সোনার ফসল। কৃষকের কান্না আমাদের কান্না না হলেও কৃষকের হাসিই আমাদের হাসি। কৃষকের হাসি-কান্না নিয়ে প্রতি ঈদে গল্প সাজান শাইখ সিরাজ তাঁর ‘কৃষক ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানে।
শাইখ সিরাজ জীবনযুদ্ধের কঠোরতাকে পেলব করতে কৃষকদের নিয়ে খেলায় মাতেন। গ্রামীণ খেলাধূলার অনাবিল আনন্দে মাতিয়ে তোলেন বাংলার কৃষকদের। পাশাপাশি থাকে ক্যামেরার লেন্সে তুলে আনা দেশ-বিদেশের বিস্ময়কর নানান গল্প।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবারের কৃষকের ঈদ আনন্দে অন্যান্য আকর্ষণীয় প্রতিবেদনের সঙ্গে থাকছে ইতিহাসের প্রাচীন কৃষিসভ্যতার সূচনাকারী নীলনদের উৎসের সন্ধান, নুরেমবার্গ ট্রায়াল, ভাস্কোদাগামার খোঁজে প্রভৃতি প্রতিবেদন। থাকছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনিন্দ্য নায়িকা ববিতার চলচ্চিত্রকথা।
শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় কৃষকের ঈদ আনন্দ প্রচারিত হবে ঈদের পররের দিন বিকেল ৪টা ৩০মিনিটে চ্যানেল আইয়ে।