দুই চিকিৎসককে পেটালেন নাসিরুদ্দিন শাহর মেয়ে! (ভিডিও)
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/01/26/nasiruddin-daughter-1.jpg)
হুট করেই মেজাজ হারালেন কিংবদন্তি অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহর মেয়ে হেবা শাহ। আর এতে যা ঘটল, তা অনভিপ্রেত তো বটেই, বিব্রতকরও বটে। রেগে গিয়ে দুই পশু চিকিৎসককে পিটিয়েছেন হেবা। মারধরের ওই ভিডিওটি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ জানুয়ারি, ভারতের মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি বন্ধু সুপ্রিয়া শর্মার অসুস্থ দুটি বিড়াল নিয়ে ফেলিন ফাউন্ডেশন নামের এক পশু হাসপাতালে যান হেবা। সেখানেই দায়িত্বরতদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। আর এর পরই ঘটে মারধরের ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী মৃদু খোসলা বলেন, “১৬ জানুয়ারি দুপুর ২টা ৫০ মিনিট নাগাদ দুটি বিড়াল নিয়ে আমাদের পশু চিকিৎসাকেন্দ্রে আসেন হেবা। ওই সময় একটি সার্জারি চলতে থাকায় আমাদের কেয়ারটেকার তাঁকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু দুই-তিন মিনিট অপেক্ষা করার পর তিনি উত্তেজিত হয়ে যান। এ সময় হেবা স্টাফ মেম্বারদের বলেন, ‘তোমরা কি জানো না যে আমি কে? কোনো সহযোগিতা ছাড়া তোমরা কীভাবে এত লম্বা সময় অপেক্ষা করাতে পারলে? কেন বিড়ালগুলোর সাহায্যে কেউ এগিয়ে এলো না?’”
এর পরই একজন সিনিয়র স্টাফ হেবাকে ওই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এতে আরো মারমুখী হয়ে ওঠেন হেবা। তিনি একে একে দুই চিকিৎসককে মারধর করেন।
তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন হেবা। তিনি বলেন, ‘আমি মেরেছি, এটি সত্য। তবে নিরাপত্তারক্ষী আমাকে শুরুতে সেখানে ঢুকতে দিতে চাচ্ছিলেন না। তিনি আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে একজন এসে আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। দর্শনার্থীর সঙ্গে এমন ব্যবহার তাঁরা করতে পারেন না।’
তবে উভয় পক্ষ যা-ই বলুক, মারধরের ভিডিও ঠিকই সিসিটিভির কল্যাণে চলে এসেছে পুলিশের হাতে । এরই মধ্যে ৪৯ বছর বয়সী হেবার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।