গত শুক্রবার (১৫ মে) ডিরেক্টরস গিল্ডের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৭ মে থেকে নাটকের শুটিং করা যাবে। এরপর এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয় যুক্তিতর্ক। করোনাকালে শুটিং বন্ধ রাখার কথা জানান অনেক নির্মাতা। ফের গতকাল জরুরি সভা হয়। সভায় শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।

রোববার রাত ১২টার দিকে শুটিং বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় নাট্যনির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ায় গত ২৩ মার্চ থেকে সব ধরনের নাটকের শুটিং বন্ধ রেখেছিল সংগঠনটি।

সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুটিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া যাঁরা শুটিং শুরু করেছেন, তাঁরা যেন দ্রুত শেষ করেন, সে অনুরোধও করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, তাই আন্তঃসংগঠন তাদের স্ব-স্ব সংগঠনগুলোর সদস্যদের সুচিন্তিত মতামত ও জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িক শিথিল অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে দেশের স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, আবুল হায়াত এবং বিশিষ্ট অভিনেত্রী, সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফাসহ সংগঠনগুলোর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শুটিং কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য আহ্বান জানালে আন্তঃসংগঠন আজ (রোববার) বিকেলে এক জরুরি সভায় মিলিত হয়ে সব সংগঠনের সদস্যগণ ও উপদেষ্টামণ্ডলীর মতামতের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করে সব ধরনের শুটিং কার্যক্রম স্থগিত রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

তবে, ‘ইতোমধ্যে যাঁরা শুটিং শুরু করেছেন, তাঁদের প্রতি অনুরোধ, অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্নকরত অনুগ্রহ করে জীবনের চাইতে জীবিকাকে প্রাধান্য না দিয়ে সকল প্রকার শুটিং বন্ধ রেখে নিজেকে, নিজের পরিবারকে সর্বোপরি জনগণকে ভয়াবহ করোনার হাত থেকে বাঁচাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।’ বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।