মধুচন্দ্রিমা, বিচ্ছেদের ঘোষণা ও পাল্টাপাল্টি মামলা
স্বামী হিশাম চিশতীর সঙ্গে এ বছরের অক্টোবরে দুবাইয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। তখন তাঁদের মধুচন্দ্রিমার খবর বেরিয়েছিল পত্রপত্রিকায়। একই মাসে আবারও আলোচনায় এসেছিলেন এই চিত্রনায়িকা। আলোচনার কারণ, মধুচন্দ্রিমার কিছুদিন পর ফেসবুকে বিচ্ছেদের ‘ঘোষণা’ দিয়েছিলেন তিনি!
যদিও কয়েক ঘণ্টা পর আইডি ‘হ্যাক’ করে সেই স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে, এ দাবি করেছিলেন তমা মির্জা। গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘দয়া করে দুয়ে দুয়ে চার মেলাবেন না। যে কাজটা করেছে, সে খুবই ঠাণ্ডা মাথায় করেছে এবং অবশ্যই আমাদের ভালো চায় না। যা-ই হোক, আমরা একসাথে ভালো আছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
এ ঘটনার দুমাস না যেতেই আবারও শিরোনামে এই চিত্রনায়িকা। এবারের কারণ পাল্টাপাল্টি মামলা। যৌতুক, নির্যাতন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা করেছেন তমা। অন্যদিকে, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে একই থানায় মামলা করেছেন তমা মির্জার স্বামী হিশাম চিশতী। রাজধানীর বাড্ডা থানায় এই মামলা দুটি হয়েছে।
মামলার বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘তমা মির্জা ও তাঁর স্বামী হিশাম চিশতী দুজন দুজনের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। তমা মির্জা মামলাটি করেন ৬ ডিসেম্বর। আর স্বামী মামলাটি করেন রাত ১২টার পর অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর। তমা মির্জা তাঁর স্বামীকে আসামি করে যৌতুক, নির্যাতন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। আর তাঁর স্বামী মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে তমার মা, ড্রাইভার আর তমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
জানা গেছে, চিত্রনায়িকা তমা মির্জা ২০১৯ সালের ৭ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হিশাম চিশতীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এম বি মানিকের ‘বলো না তুমি আমার’ সিনেমার মাধ্যমে ২০১০ সালে তমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। এরপর ২০১৫ সালে ‘নদীজন’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তমা। সবশেষ সাদাত হোসাইনের ‘গহীনের গান’ সিনেমায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি।