ময়মনসিংহ টু মুম্বাই : আরিফিন শুভর ১০ বছর
সময় দুপুর ১২টার আশপাশে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বের হয়েছেন আরিফিন শুভ। গন্তব্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এরপর উড়াল দেবেন আকাশপথে এক হাজার ৮৮৫ কিলোমিটার দূরত্বের শহর মুম্বাইয়ে। ঢাকাই সিনেমায় দীর্ঘ ১০ বছরের পথচলায় এটাই শুভর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা যাত্রা বলা চলে। কেননা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমার জন্য ঢালিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এই চিত্রনায়কের যাত্রা।
মুম্বাইয়ে সিনেমাটির কেন্দ্রীয় ‘বঙ্গবন্ধু’ চরিত্রের জন্য প্রথম ধাপের কর্মশালা ও শুটিং মিলিয়ে ৮১ দিন অবস্থান করবেন আরিফিন শুভ। লম্বা সময়ের জন্য ঢাকা ছাড়ার আগে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছিলেন এই অভিনেতা। সেই আলাপে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমা ও তাঁর ১০ বছরের ঢাকাই সিনেমার ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে।
এনটিভি অনলাইন : ইতিহাসের সাক্ষী হতে দেশ ছাড়ছেন। ভয় কাজ করছে, না কি উচ্ছ্বাস?
আরিফিন শুভ : দুটোই কাজ করছে।
এনটিভি অনলাইন : ভয়ের কারণটা কী?
আরিফিন শুভ : সত্যিকার অর্থে, মানুষ যখন যুদ্ধে যায়, তখন ভয় কাজ করে। যখন হারজিতের বিষয় থাকে। আমি যদি ব্যাখ্যা করি, ব্যাখ্যাটা এ রকম হবে, এক বছর ধরে যে মানুষটার সম্পর্কে দেখে, শুনে, পড়ে বিস্তরভাবে উনাকে জানার সুযোগ হয়েছে; এরপর এই মানুষটার প্রেমে পড়ে গেছি আমি। এই মানুষটার সবকিছুর প্রেমে পড়ে গেছি। সেই প্রেমে পড়ে যাওয়ার কারণে, বলে না... প্রেমে পড়লে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়? প্রেমে পড়ে অন্ধ হয়ে আমি এখন এর চেয়ে বেশি একটা ঘোর ফিল করছি। আই থিঙ্ক, ওই ঘোর থেকে আমি করব (সিনেমাটি) আসলে। মানে এক ধরনের হ্যালুসিনেশন হচ্ছে আমার। কয়েক দিন ধরে আমার জীবনে উনার মাঝে বসবাস করার একটা প্রক্রিয়া চলছে এত বেশি... গত এক বছর ধরে এটা নিয়েই পড়ে ছিলাম, আপনারা সবাই জানেন। এই এক বছরে আরো বিস্তরভাবে উনার সম্পর্কে জেনে এবং পড়ে আমি উনার প্রেমে পড়ে আছি। সেই প্রেম থেকেই কাজটা করব। সে কারণে ভয়টা কম, প্রেমটা বেশি। কারণ, শিল্পী হিসেবে এক ধরনের নার্ভাসনেস অবশ্যই আছে। বাট, সেই নার্ভাসনেসটা... যেহেতু আমি নতুন কাজ করি না, আমি জানি ওভারকাম কীভাবে করতে হয়। সেগুলো আছে। সবকিছু মিলিয়ে এ রকম চরিত্র বা এ রকম অনুভূতি কোনোদিন কোনো কাজ করতে গিয়ে হয়নি। সেটা সিনেমার ১০ বছর হোক বা তার আগে টেলিভিশনের কাজ বা মডেলিং; সবকিছু মিলিয়ে এ রকম অনুভূতি কখনো কোনোদিন হয়নি।
এনটিভি অনলাইন : তা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এখন ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিলে শুভ কত নম্বর পাবেন?
আরিফিন শুভ : এটা হুট করে বলা কঠিন। তবে উনার জীবনটা এত বিস্তর, আমি যতটুকু জেনেছি, আই ডোন্ট থিঙ্ক বিলো ফিফটি পাব।
এনটিভি অনলাইন : এই সিনেমার খবর কীভাবে পেয়েছিলেন?
আরিফিন শুভ : প্রথম দফার অডিশনে আমাকে ডাকা হয়নি। আমার অডিশন আরো পরে হয়েছে, যেটা তিন-চার মাস ধরে করেছে দেশ ও দেশের বাইরে। শ্যাম বেনেগালের টিম থেকে একজন যোগাযোগ করেছিলেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারির তিন-চার মাস আগে যোগাযোগ করেছিলেন আমার সঙ্গে। সেটার ফাইনাল ফলাফল গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি আমাকে দেওয়া হয়।
এনটিভি অনলাইন : ঠিক কী কারণে বিখ্যাত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল আপনাকে এই চরিত্রের জন্য নির্বাচন করলেন বলে মনে করেন?
আরিফিন শুভ : সেটা উনি ভালো বলতে পারবেন। আমার কোনো আইডিয়া নেই। আমি শুধু এটুকু বলতে পারব, পাঁচ দফায় অডিশন হয়েছে দেশ ও দেশের বাইরে এবং যখনই আমাকে ডাকা হয়েছে, আমি চিলের মতো ছুটে গিয়েছি সবকিছু ফেলে। কেন উনি আমাকে নিয়েছেন, আমার মনে হয় এটার উত্তর উনি ভালো বলতে পারবেন, এটার উত্তর আমি বলতে পারব না।
এনটিভি অনলাইন : তবু শিল্পী হিসেবে তৃপ্তি থাকে না যে আমাকে এ কারণে নেওয়া হতে পারে...
আরিফিন শুভ : শিল্পী হিসেবে যদি আমার এক ধরনের তৃপ্তির জায়গা চলে আসে, আমার শিল্পীত্ব মরে যাবে। আমার মধ্যে ওই স্যাটিসফেকশন কোনোদিন আসেনি যে, আমাকে এ কারণে নেওয়া হয়েছে; এ ধরনের ভাবনা কখনো আসেনি। ওই ভাবনা এলে আমি আর অভিনয় করতে পারব না।
এনটিভি অনলাইন : বলছিলেন প্রায় এক বছর ধরে এই চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। সেটা কী ধরনের...
আরিফিন শুভ : দেখে, শুনে, পড়ে। উনার যত ফুটেজ আছে। যতটুকুই আছে আমাদের। সেই ফুটেজ দেখে... উনার বিষয়ে যে বই তথা উনি যে বই লিখেছেন, সে বইগুলো পড়ে এবং উনাকে কাছ থেকে দেখেছেন, পেয়েছেন এবং উনার সম্পর্কে বিস্তর জানেন, এ রকম মানুষদের কাছ থেকে লেকচার শুনে। আমাদের অসংখ্যবার সেশন হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ হয়েছে। যেখানে আমাকে উনার সম্পর্কে জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি ব্যক্তিগত এবং পলিটিক্যাল দুই দিকই ব্যাখ্যা করেছেন। এই তিন ভাগে; দেখে, শুনে, পড়ে আমার প্রিপারেশন হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : এত জানাশোনার পর বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সবচেয়ে মনে দাগ কেটেছে কোন জায়গাটা?
আরিফিন শুভ : অনেক কিছু। ব্যক্তিগত জায়গায় একটা কথা বলতে পারি। একজন বাবা আমার এই লেখাটা যিনি পড়বেন, তিনি যদি একজন বাবা হন বা একজন মা হন, একটা প্যারেন্ট যখন তাঁর সন্তান আরেক সন্তানকে জিজ্ঞেস করেন যে তোমার আব্বা কি আমার আব্বা? বঙ্গবন্ধুর এক ছোট সন্তান আরেক বড় সন্তানকে জিজ্ঞেস করছে, মানে উনার জীবদ্দশায় উনি এতটা সময় জেলে ছিলেন যে উনার নিজের সন্তান কনফিউসড ছিলেন, তোমার আব্বা কি আমার আব্বা; এই যে একটা লাইন। এবং আরেকটা হচ্ছে শেখ রাসেল বলেছিল যে আব্বার বাড়ি যাব। মানে ধানমণ্ডির বাড়ি হচ্ছে তাদের বাড়ি আর জেল হচ্ছে আব্বার বাড়ি। এই ধরনের অসংখ্য... পলিটিক্যাল দিক বাদ দিলাম। পলিটিক্যাল দিক আমরা অনেকে অনেকটা জানি। বাট ব্যক্তিজীবনে আমি যেদিন বাবা হব... আমি এটা বারবার মর্মে-মর্মে ফিল করার চেষ্টা করেছি। আমার নিজের সন্তান কনফিউসড, বরং সে আমাকে এতটা কাছে পায়নি। একদমই কাছে পায়নি, বাবার যে স্নেহ-মমতা, সেটা এতই কম পেয়েছে, কারণ উনি জেলে ছিলেন। উনার বুকের ভেতর কষ্টটা কত বড় ছিল। এবং সেটা সত্ত্বেও উনি বাঙালি জাতির জন্য লড়ে গেছেন... বাবা ছিলেন, সবচেয়ে বড় কথা আপনি যে নামেই ডাকেন না কেন, আপনি যেখানেই বসান। আপনার-আমার মতো একদমই স্বাভাবিক একটা পরিবার থেকে উঠে এসে এবং রক্তমাংসের মানুষ উনি। কোনো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট দিয়ে উনাকে বানানো হয়েছে, তা মনে হয়? আপনার-আমার মতো রক্তমাংসের মানুষ। আপনার যেটাতে ব্যথা হয়, আপনার যেটাতে খুশি হয়, একইভাবে উনারও হতো। একজন মানুষ হিসেবে এতটা দগ্ধ হয়েছেন উনি, এতটা কষ্ট পেয়েছেন। তার পরও এ মানুষটাকে ভাঙা যায়নি। অসহায় গরিব-দুঃখী বাঙালির পাশ থেকে উনি সরে আসেননি। এটা খুব সহজ বলে আমার মনে হয় না... এই জিনিসগুলো আমার ভেতরে প্রচণ্ডরকম দাগ কেটেছে। এবং আরেকটা জিনিস হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত উনার সাহস। সত্যের সাথে লড়ার সাহস...
এনটিভি অনলাইন : ৮১ দিনের দীর্ঘ সফরে যাচ্ছেন, সবচেয়ে কী বা কাকে মিস করবেন?
আরিফিন শুভ : মাকে...
এনটিভি অনলাইন : শুভ ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমার কাজ শেষ করে ফিরলে তো নতুন একটি উচ্চতায় অবস্থান করবেন। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
আরিফিন শুভ : কোনোভাবেই দেখি না। কারণ, উচ্চতা-অনুচ্চতা এগুলো মানুষের ভালোবাসা। শিল্পী হিসেবে সেগুলো ভাবতে চাই না। এ কারণে ভাবতে চাই না, মানুষ যত উচ্চতার শিখরে উঠুক, সেটা টেম্পোরারি হয়। সেটা পার্মানেন্ট হয় না। অনেক রথি-মহারথি চলে গেছে পৃথিবী ছেড়ে। উচ্চতা-অনুচ্চতা আমার চাই না। উচ্চতা-অনুচ্চতা নিয়ে কোনোদিন ভাবিনি। ভাবলে, আমি দেড় বছর ধরে একটা ছবি করি না... ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁদের অনেক বেশি ছবি আছে। তাহলে আমি অনেক বেশি ছবি করতে পারতাম, বাট পারিনি তো।
এনটিভি অনলাইন : ঢালিউডে ১০ বছর হয়ে গেল আপনার। অপ্রাপ্তি আছে কী কী?
আরিফিন শুভ : কোনো অপ্রাপ্তি নেই। ২৫৭ টাকা নিয়ে এসেছিলাম ছোট একটা মফস্বল শহর থেকে। ১০ বছর যদি সিনেমার ক্যারিয়ার হয়, তার আগেও তো আমার আরেকটা লম্বা ক্যারিয়ার আছে টেলিভিশনে, মডেলিং, রেডিওতে। আই থিঙ্ক, আমার জীবনে যতটুকু পাওয়ার ছিল, তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি আমি পেয়ে গেছি। আমার কোনো রিগ্রেট নেই।
এনটিভি অনলাইন : অনেকে বলেন, আপনি সিনেমা নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুবই চুজি। ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আর কী করা গেলে আরেকটু ভালো লাগত বলে মনে করেন?
আরিফিন শুভ : একদমই মনে হয় না আর কিছু করতে পারলে ভালো হতো। আমি বিষয়টাকে চুজি বা সিলেক্টিভ হিসেবে দেখি না। আমি এভাবে দেখি যে, কোনো গল্প যখন ডিরেক্টর ন্যারেট করছে, আমার বুকে দাগ কাটছে। সেটা রিলিজ হওয়ার পরে লোকে ভালোবাসলে আলহামদুলিল্লাহ; যদি না বাসে, তাতেও আলহামদুলিল্লাহ। আমার মনে দাগ কাটলে দর্শকের মনে কাটবে, এমন নয়। কোনো শিল্পের ক্ষেত্রে তা পৃথিবীতে কখনো হয়েছে? একজন শিল্পী যা কাজ করেছে, সবই ভুবনবিখ্যাত হয়েছে? তা নয় তো। বিষয়টা এমন নয় যে আমি অনেক সিলেক্টিভ বা অনেক চুজি বা আমি কাজ করতে চাই না। তা একদমই নয়। আমি অনেক কাজ করতে চাই। বাট আমি যখন ন্যারেশনটা পাই, আমার শ্রদ্ধেয় পরিচালকেরা অলরেডি জানেন যে শুভর যদি মনে দাগ কাটে, তবেই করবে। শুভকে যদি পুরো পৃথিবীর অর্থ এনে দেওয়া হয়, লাক্সারি এনে দেওয়া হয়, শুভর যদি মনে দাগ না কাটে, শুভ করবে না। এর জন্যই লোকে বলে ওটা।
এনটিভি অনলাইন : আলোচিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার দুই পর্বের শুটিং শেষ করলেন। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শুটিংয়ে যাচ্ছেন। হাতে আরো সিনেমা আছে। এখন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময় যাচ্ছে বলা যায়। আগামীর পরিকল্পনা কী সিনেমা নিয়ে?
আরিফিন শুভ : আমি এমন একটা মানুষ যে ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা প্ল্যান করি না। ভবিষ্যৎ নিয়ে এই কারণে প্ল্যান করি না যে, ভবিষ্যৎ কে দেখেছে? আপনি দেখেছেন ভবিষ্যৎ? আপনি জানেন, এক মিনিট পর কী হবে? কেউ জানে? কেউ জানে না, এক মিনিট পর কী ঘটতে পারে। সে কারণে আমার জীবনেরই মৌলিক আদর্শ হচ্ছে এটা। এই মুহূর্তে যেটা সঠিক, যেটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট, সেটা যদি আমি ঠিকমতো করি শ্রম, মেধা, অধ্যবসায় সবকিছু দিয়ে; আমার সর্বোচ্চ দিয়ে যদি এই মুহূর্তটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করি, আমার ভবিষ্যৎ অটোমেটিক্যালি সঠিক পথে এগোবে। আমি ভবিষ্যতের প্ল্যান করতে গেলাম, অনেক প্ল্যান করলাম, কিন্তু এই মুহূর্তকে ঠিকমতো ব্যবহার করলাম না; তাহলে ভবিষ্যতে কিছুই হবে না। শুধু ভুলে ভরা থাকবে। সো, আমি ভবিষ্যতের প্ল্যান করি না। আমি এই মুহূর্ত নিয়ে প্ল্যান করি। এই মুহূর্তে আমি আমার বেস্টটা দিতে পারছি না, সেই জিনিসগুলোর প্রিপারেশন নিই।
এনটিভি অনলাইন : আপনি মনে করেন না, দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ভালো সময় যাচ্ছে এখন?
আরিফিন শুভ : আমি এতে একমত নই। ভালো সময় খারাপ সময়, এগুলো আপেক্ষিক। মিশন এক্সট্রিমের মতো আরো অসংখ্য ফিল্ম করব। তবে আমার জীবদ্দশায় আর জীবনে আরেকবার বঙ্গবন্ধু আসবে না, মুজিব আর আসবে না। সেই জায়গা থেকে প্রচণ্ড ভালোলাগা, প্রচণ্ড স্পর্শকাতর হয়ে যাওয়ার মতো একটা বিষয়। এটা আমি মানতে রাজি আছি। বাট আমার ক্যারিয়ারের এই সময় সবচেয়ে ভালো যাচ্ছে, এ কথাগুলো মানতে রাজি নই। ক্যারিয়ারে সব সময় আমার জন্য ভালো ছিল, আমি এভাবে ভাবি বিষয়টা। আমার জীবনকে এভাবে দেখি। যখন ছুঁয়ে দিলে মন রিলিজ হয়েছে, আমার জীবন সুন্দর ছিল। যখন জাগো রিলিজ হয়েছে, আমার জীবন সুন্দর ছিল। যখন আমার কোনো একটা ফিল্ম ওয়ার্ক করেনি, তখনো সুন্দর ছিল। এ কারণে যে, আমি সেখান থেকে শিখেছি। কিছু ভালো কাজ হচ্ছে, এর মানে জীবন সুন্দর, আসলে তা নয়।
এনটিভি অনলাইন : দেশ ছাড়ার আগে ভক্তদের উদ্দেশে যদি কিছু বলেন।
আরিফিন শুভ : শুধু ভক্ত নয়, আমি দেশবাসীর প্রত্যেকের কাছে একটি জিনিসই চাইব... এখন আমার জন্য নয়, আমাদের গোটা টিম; প্রোডাকশন বয় থেকে শুরু করে আমাদের ডিরেক্টর পর্যন্ত, প্রত্যেকের জন্য আমি দোয়া, আশীর্বাদ ও ভালোবাসা চাই। যাতে আমরা সবাই সুস্থ-সুন্দরভাবে এই লটটা শেষ করতে পারি। এখানেই তো ছবিটা শেষ হচ্ছে না। সেপ্টেম্বরে আবার বাংলাদেশে পার্ট টুর শুট হবে। আমি শুধু এটুকুই চাইব, আমরা যেন সুস্থ ও সুন্দরভাবে কাজটা করে দেশে ফিরতে পারি। সেপ্টেম্বরেও যাতে সুন্দরভাবে সুস্থভাবে আমরা ছবির কাজটা শেষ করতে পারি। এটুকুই বলার।
এই দীর্ঘ আলাপন যখন পাঠক পড়ছেন, তখন হয়তো আরিফিন শুভ তাঁর স্বপ্ন ছোঁয়ার যাত্রাপথে অথবা বিমানের জানালায় উঁকি দিয়ে দেখছেন আকাশ। শুভর জন্য শুভকামনা।