মিশা-জায়েদ কমিটির ১২ লাখ টাকা পিকনিকের : ইলিয়াস কাঞ্চন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর দাবি করছেন, গেল মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন ইতিহাসে প্রথমবার ১২ লাখ টাকা সমিতির ফান্ডে জমা রেখেছেন। তবে এই টাকা পিকনিকের টাকা বলে উল্লেখ করেছেন এবারের নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী খ্যাতিমান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
রোববার রাজধানীর সামুরাই কনভেনশন সেন্টারে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেলের পরিচিতি সভায় মিশা সওদাগর দাবি করেন, ইতিহাসে প্রথমবার ১২ লাখ টাকা শিল্পী সিমিতির ফান্ডে জমা রেখেছেন তাঁরা ক্ষমতায় থাকাকালীন। এবার নির্বাচিত হলে এই টাকা ৫০ লাখ করবেন বলে আশ্বাস দেন এই অভিনেতা।
মিশার এমন দাবির প্রেক্ষিতে বিপরীত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন আজ সন্ধ্যায় এফডিসিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই টাকা পিকনিকের জন্য। করোনার কারণে ২ বছর পিকনিক হয়নি। তাহলে টাকাটা জমা থাকাই স্বাভাবিক। এসব সাধারণ জিনিস নিয়ে মিথ্যাচার করা উচিত না। আমি ১৯৮৯ সালে যখন সাধারণ সম্পাদক ছিলাম তখন ৩ লাখ টাকা রেখেছিলাম। তখনকার ৩ লাখ টাকা এখন কত হিসেব করতে হবে।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন।
রোববারের আয়োজনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী রুবেল দাবি করেছেন, অনেকেই অতিথি পাখির মতো এসে নির্বাচন করছেন। যাদের অন্য সময় খোঁজ থাকে না।
এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চনের ভাষ্য, ‘আমাকে নির্বাচনের জন্য আনা হয়েছে। নিপুণ, রিয়াজ, ইমন, সাইমন সবাই চেয়েছে আমি যেন নির্বাচন করি। সাধারণ শিল্পীরাও চেয়েছে আমি যেন নির্বাচন করি। আর আমি যদি অন্যদের চেয়ে আরও ভালো কাজ করতে পারি তাহলে কেন নির্বাচন করবো না? আমি কি কোনো রাজনৈতিক দল করি? আমি একজন শিল্পী। শিল্পী হিসেবে একজন মানুষ, শিল্পীদের ভাই, বন্ধু। তাই আমি মন্ত্রী হতে চাই না, শিল্পীদের সঙ্গে থাকতে চাই।’
এবারের নির্বাচনে তাঁদের প্যানেল পাস করলে শিল্পী সমিতিতে তিনবার একই পদে প্রার্থীরা নির্বাচন করতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।