রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য, চিরঘুমে পুনীত রাজকুমার
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভারতের কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শীর্ষ তারকা পুনীত রাজকুমারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
ইন্ডিয়া ডটকমের খবর, আজ রোববার সকালে বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হয় দক্ষিণ ভারতীয় এ তারকার। প্রয়াত অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।
বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে রাজকুমারের মরদেহ রাখা হয় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গণমান্য ব্যক্তিরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। সেখানে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে বললেও এটা আমার কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা একজন বড় মাপের প্রতিভাবানকে হারালাম। পুরো পরিবারের সঙ্গে আমার ভালো বন্ধন ছিল। সেই ছোট থেকে ওকে দেখছি। আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।’
পুনীত রাজকুমারের মৃত্যুর খবরে শোকাতুর বিনোদন অঙ্গন। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তা ছিল তাঁর।
গতকাল শনিবার পুনীত রাজকুমারের মরণোত্তর চক্ষুদান কার্যক্রম শেষ হয়। অভিনেতার ইচ্ছে অনুসারে চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর মৃত্যুর পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন।
পুনীত রাজকুমারের বাবা কিংবদন্তি অভিনেতা ডা. রাজকুমার ১৯৯৪ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁর পুরো পরিবার মরণোত্তর চক্ষুদান করবেন।
গেল শুক্রবার জিমে শরীরচর্চা করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন পুনীত রাজকুমার। এর পর বেঙ্গালুরুর বিক্রম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
পুনীত রাজকুমারের মৃত্যুতে কর্ণাটক সরকার বাড়তি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। বেঙ্গালুরু ও তামিলনাড়ুতে ৩১ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিশু অভিনেতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পুনীত রাজকুমার। ১২টি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন; পেয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। ২০০২ সালে ‘আপ্পু’ সিনেমায় অভিনয় করে কন্নড় সিনেমায় তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। প্রায় ২৯টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন পুনীত রাজকুমার। ছিলেন কন্নড় চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা। সামাজিক কার্যক্রম ও দানশীলতার জন্যও সুপরিচিত ছিলেন এ তারকা।