শুক্রবার রাতে মুখ লুকিয়েও পার পেলেন না হৃতিক!
বলিউডের গ্রিক দেবতা খ্যাত সুপারস্টার হৃতিক রোশন এখন টক অব দ্য বি-টাউন। ১৬ বছরের ছোট অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে তাঁর ডিনার ডেট নিয়ে সরগরম বিনোদন অঙ্গন। গুঞ্জন, সুসানের সঙ্গে ডিভোর্সের সাত বছর পর প্রেমের দেখা পেয়েছেন হৃতিক।
দুদিন আগে টাইমস অব ইন্ডিয়া বিশেষ খবরে জানিয়েছিল, ফের কবে হৃতিক আর সাবা একসঙ্গে ঘরের বাইরে বের হবেন, তার জন্য অপেক্ষা করছে সবাই। দ্বিতীয় বার যে পাপারাজ্জিরা সেই মুহূর্ত দেখতে চলেছেন, তা নিশ্চিত। কি ক্যামেরাম্যান, রেডি তো?
হ্যাঁ, ক্যামেরা রেডিই ছিল। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় বারের মতো ডিনার ডেট সেরেছেন হৃতিক। মানে, দ্বিতীয় বারের মতো পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বন্দি হলেন হৃতিক-সাবা। এ সময় হৃতিককে মুখ লুকাতে দেখা যায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, বিগ বসের ১৫তম মৌসুম শেষে ‘দিল কাবাডি’, ‘মুঝছে ফ্রান্ডশিপ কারোগি’ ও ‘রকেট বয়েস’ অভিনেত্রী সাবা আজাদ এখন তুমুল আলোচনায়।
খবরে প্রকাশ, ২০১৩ সালে বলিউডের তারকা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহর ছেলে ইমাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন সাবা আজাদ। সে সময় ইমাদ গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছিলেন, সাবার সঙ্গে লিভ-ইন (একত্রবাস) সম্পর্কে রয়েছেন। এ খবর কমবেশি অনেকের জানা হলেও যেটি কেউ জানে না, তা হলো, সাবার সঙ্গে ইমাদের লিভ-ইন সম্পর্ক ছিল টানা সাত বছর।
সূত্রমতে, ২০২০ সালে ইমাদ ও সাবা আলাদা হয়ে যান। অন্তত ২০২০ সাল পর্যন্ত তাঁরা একসঙ্গে বাস করতেন। কিন্তু কেন যে এত দিনের দারুণ সম্পর্ক ভাঙল, তা কেউ জানতে পারেনি।
হৃতিকের বয়স ৪৮ আর সাবার ৩২। হৃতিকের চেয়ে সাবা ১৬ বছরের ছোট। এদিকে জোর গুঞ্জন, ‘রকেট বয়েস’ সিনেমার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না সাবা আজাদ।
এর আগে বলিউড হাঙ্গামা বিশেষ খবরে জানায়, হৃতিক রোশনের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু পোর্টালটিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হৃতিক ওরফে দাগ্গু সব সময় ব্যক্তিগত জীবনের খবরাখবর গোপন রাখতে চান। হৃতিক কিছুদিন ধরে গোপনে উদীয়মান অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। আর সেই সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনার সময় এসেছে। তাঁরা দুর্দান্ত যুগল।
মনে হচ্ছে, সাবেক দম্পতি হৃতিক ও সুসান উভয়েই অবশেষে তাঁদের জীবনে নতুন সঙ্গীর দেখা পেয়েছেন। সুসান খান ‘জিয়া অউর জিয়া’ অভিনেতা আরসলান গনির ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। আর হৃতিক সাবা আজাদের প্রেমে পড়েছেন।
হৃতিক রোশন ও সুসান খান শৈশবের বন্ধু ছিলেন। ২০০০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন এবং ২০১৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের ঘরে রয়েছে দুই পুত্রসন্তান। তাঁরা শুধু ভালো অভিভাবকই নন, একে অন্যের দারুণ সহায়কও। যখন কঙ্গনা রনৌতের সঙ্গে হৃতিক রোশনের তুমুল ঝামেলা চলছিল, তখন হৃতিকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সুসান।
যখন বিবাহবন্ধনে ছিলেন, তখনও যেমন বি-টাউনে আলো ছড়িয়েছিলেন সুসান খান ও হৃতিক রোশন; বিবাহবিচ্ছেদের পরেও তাঁরা যুগলপ্রেম ও মাতৃ-পিতৃরূপ দেখিয়েছেন। ১৪ বছর হৃতিক রোশনের স্ত্রী ও জীবনসঙ্গী ছিলেন সুসান। ২০১৪ সালে তাঁরা আলাদা হয়ে যান এবং এ খবরে বিশাল ঝাঁকুনি খায় অনুরাগীদের মন।
এখন দেখা যাক, হৃতিক ও সুসানের নতুন প্রেমের খবর আদৌ আনুষ্ঠানিক হয় কি না।