৮ বছর প্রেম করা প্রেমিকার অভিযোগ, সালমান খান মারতেন আর পরিচারিকা...
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের সঙ্গে একাধিক নারীর নাম জড়িয়ে আছে। তেমনই একজন সোমি আলি। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এক দিন ভেঙে যায়। সেই সোমি আলি বললেন, সালমান নিয়মিত তাঁকে মারধর করতেন আর তাঁর পরিচারিকা সালমানের কাছে অনুরোধ জানাতেন তাঁকে না মারার জন্য।
বিভিন্ন সময়ে সালমানকে নিয়ে নানান বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন আট বছর ধরে সালমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন দাবি করা সোমি। সালমানের বিরুদ্ধে আবারও এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন তিনি।
এডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সালমানের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি প্রাক্তন অভিনেত্রী অভিযোগ করেছেন, ‘আমার বাড়ির পরিচারিকা সহ আশেপাশের সবাই জানতো যে, ও (সালমান) আমাকে হেনস্থা করতে পারে। আমার পরিচারিকা বেডরুমের দরজা বারবার ঠকঠক করে ওর কাছে আবেদন করত, যেন ও আমাকে আর না মারে।’
এর আগে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সিনেমার একটি পোস্টার শেয়ার করে সোমি লিখেছেন যে, ‘ও একটা নারী নির্যাতনকারী। শুধু আমাকে না, সকলকেই নিগ্রহ করেছে সালমান। আমার মতো অনেক মেয়েকে সে হেনস্থা করেছেন। দয়া করে ওকে পুজো করা বন্ধ করুন। ও একটা নির্দয় ব্যক্তি। আপনাদের কোনো ধারণাই নেই।’
অভিযোগে সোমি আরও বলেন, ‘ক্ষত ঢাকতে মেকআপ আর্টিস্ট আমার ঘাড়ে প্রচুর ফাউন্ডেশন লাগাতো।’
টিনএজ ক্রাশ সালমান খানকে বিয়ে করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি থেকে ভারতের মুম্বাইয়ে যান সোমি আলি। এক বছর পর সালমানের সঙ্গে তাঁর শুধু সাক্ষাৎই হয়নি, ধীরে প্রেমে জড়ান। মধ্য-নব্বইয়ে বি-টাউনে সালমান-সোমির প্রেম ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। কিন্তু সেই সম্পর্কের অবসান হয় ১৯৯৯ সালে। এরপর সোমি ফিরে যান নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে।
যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পর সোমি আলি পড়াশোনা শুরু করেন। কয়েক বছর পর একটি সংগঠন গড়ে তোলেন, নাম ‘নো মোর টিয়ার্স’। মানসিক ও শারীরিকভাবে নিগৃহীতদের সাহায্য করে সংগঠনটি। এক সাক্ষাৎকারে সোমি আলি বলেছিলেন, ঐশ্বরিয়া রাইয়ের কারণে সালমানের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছিল।
এর আগে প্রকাশ্যে সালমানের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ এনেছিলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই।