মঞ্চে আসছে নতুন নাটক ‘বহ্নি বিসর্জন ব-দ্বীপ’
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সৃষ্টিসম্ভার থেকে নির্বাচিত তিনটি সৃষ্টিকর্মের সংশ্লেষ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ মঞ্চে আনছে নতুন নাটক ‘বহ্নি বিসর্জন ব-দ্বীপ’। আগামীকাল শুক্রবার থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ করবে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আহমেদুল কবির।
সৈয়দ শামসুল হকের ‘নূরলদীনের সারাজীবন’, ‘নিষিদ্ধ লোবান’ ও ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ অবলম্বনে আবহমান ইতিহাসের ধারায় বাঙালির রাষ্ট্র নির্মাণের আখ্যান পরিবেশিত হবে নাটকটির মাধ্যমে। এই নাট্যের বুনন ও বিন্যাসে প্রথমে গৃহীত হয়েছে সৈয়দ হকের কাব্যনাটক ‘নূরলদীনের সারাজীবন’, নাট্যের দ্বিতীয় বুননশীল উপাদান হলো ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিগর্ভ আদিগন্ত প্রেক্ষাপট উন্মোচন করে সৈয়দ হকের উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’ এবং তৃতীয় বুননশীল উপাদান হিসেবে এসেছে সব্যসাচীর আরেক কাব্য নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া’।
নাটকটির নির্দেশক আহমেদুল কবির বলেন, ‘বাঙালির সংগ্রামের আবহমান ধারা এবং মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নানে অর্জিত বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের একটি নাট্যিক ভাষ্য নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা এই প্রযোজনার প্রধান আশ্রয়রূপে গ্রহণ করি সৈয়দ শামসুল হকের কাব্যনাটক নূরলদীনের সারাজীবন, উপন্যাস নিষিদ্ধ লোবান এবং আরেকটি কাব্যনাটক পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। এই ত্রয়ী অবলম্বনে আমাদের বিনীত প্রচেষ্টা হলো আবহমান ইতিহাসের ধারায় বাঙালির রাষ্ট্র নির্মাণের আখ্যান বহ্নি বিসর্জন ব-দ্বীপ। ফলে, এই নাট্য কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উদ্দেশ্যই পূরণ করে না, এই শিক্ষার অন্তঃসলিলা প্রবাহে আছে বাংলাদেশ সত্ত্বার গঠনে শাসকগোষ্ঠীর নিষ্পেষণ, জনগণের আর্তনাদ ও আত্মবলিদান এবং দ্রোহের অগ্নি।’
নাটকটির আখ্যান সংযোজনায় রয়েছেন শাহমান মৈশান, অভিনয়-উদ্দীপনায় ড. ইসরাফিল শাহীন ও সাইদুর রহমান লিপন, মঞ্চ আলোক এবং দ্রব্যসম্ভার পরিকল্পনায় আশিক রহমান লিয়ন।