হিন্দু-মুসলমানের প্রেমকাহিনী নিয়ে ‘চম্পাবতী’
বাংলা নববর্ষ-১৪২৪ উপলক্ষে আগামী ১ বৈশাখ, ১৪ এপ্রিল শুক্রবার কুমিল্লায় মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নাটক ‘চম্পাবতী’। নাট্যভাস্কর ড. মুকিদ চৌধুরী রচিত নাটকটি বাংলা মুভমেন্ট থিয়েটার শিল্পশৈলীতে নির্মিত হয়েছে। একই দিনে ‘চম্পাবতী’ নাটকটির দুটি প্রদর্শনী হবে।
ওই দিন কুমিল্লার ভোলাইন কলেজের আয়োজনে বেলা ১১টায় ভোলাইন কলেজ অডিটরিয়ামে ও লাকসাম নাট্যজংশনের আয়োজনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লাকসাম পৌর অডিটরিয়ামে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে।
জি এম এস রুবেলের পরিচালনায় নাটকটির মঞ্চ, আলো ও শব্দ পরিকল্পনা করেছেন আসলাম অরণ্য। সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন প্রভাষক মুজাহিদুল আমিন সোহেল।
‘চম্পাবতী’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে ও নেপথ্যে রয়েছেন প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন পেয়ার, প্রভাষক আবদুল আলী, প্রভাষক মুজাহিদুল আমিন সোহেল, নাজমা ইসলাম, জি এম এস রুবেল, রাশেদুল আনোয়ার বাঁধন, আরিফুর রহমান, ফখরুল ইসলাম রাব্বি, তাইমুন আহমেদ রাকিব, তৃষা দেবনাথ, হৃদয় চন্দ্র দাস, তানভীর হাসান রাজ, কামরুল হাসান, নুশরাত জাহান ঝুমুর, শামিন সরাফত নিহাল, অমিনুল ইসলাম, শাহজালাল ইমরান, আবু হানিফ মজুমদার প্রমুখ।
নাটকটি প্রসঙ্গে নাট্যভাস্কর ড. মুকিদ চৌধুরী বলেন, “গৌড়ের এক সুন্দর অঞ্চল চন্দ্রদ্বীপে ছিলেন তিনজন জমিদার। তাঁরা হলেন জমিদার প্রিয়নাথ, রামচন্দ্র রায় ও শাহ সিকান্দার। জমিদার প্রিয়নাথ ছিলেন শান্তিপ্রিয় ও সুদর্শন যুবক। তিনি রামচন্দ্র রায়ের কন্যা চম্পাবতীকে বিয়ে করতে চান। অন্যদিকে, রামচন্দ্র রায় ও শাহ সিকান্দার পরস্পরকে শত্রু মনে করতেন। তাঁরা সহজেই একে অন্যের সঙ্গে বিবাদে জড়াতেন এবং লড়াইয়ে লিপ্ত হতেন। এ দুই পরিবারেরই সদস্য গাজী ও চম্পাবতী ধর্মের বিভেদ ভুলে একে অপরকে ভালোবাসে আর প্রিয়নাথ সমধর্মের লোক হলেও হন বঞ্চিত। এই হিন্দু-মুসলমান প্রেমকাহিনী নিয়েই রচিত হয়েছে ‘চম্পাবতী’ নাটকটি।”