এখনো কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস নিচ্ছেন রাজ্জাক
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষ থেকে আজ ৩০ জুন মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় নায়করাজ রাজ্জাকের স্বাস্থ্যের খবর জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এখানে ডাক্তার শাগুফা আনোয়ার (চিফ অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেড) এক লিখিত বক্তব্যে জানান, ‘বর্তমানে নায়করাজ রাজ্জাক মানসিকভাবে সচেতন আছেন। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, রক্তচাপ, কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ এখন নিয়ন্ত্রণে আছে এবং তাঁর সার্বিক অবস্থা উন্নতির দিকে। আস্তে আস্তে তাঁর ভেন্টিলেটর সাপোর্ট আপসারণ করার জন্য বক্ষব্যাধি, হ্দরোগ, মেডিসিন ও আইসিইউ বিশেষজ্ঞরা সম্মিলিতভাবে নিয়মিত তাঁকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। রোগের জটিলতার কারণে তাঁকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
ডা. শাগুফা আনোয়ার আরো বলেন, ‘কোনো রোগ একদিনে ভালো হয় না। চিকিৎসার ফলে একটা ধরাবাহিকতা মেনে মানুষ সুস্থ্ হন। তিনিও সুস্থ হচ্ছেন। এর আগেও তিনি আমাদের হাসপাতালে এসেছেন এবং চিকিৎসা নিয়েছেন। যে কারণে আমরা আশা করি খুব তাড়াতাড়ি তিনি ভালো হয়ে উঠবেন।’
নায়করাজের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন ‘আব্বা এখন ভালো আছেন। সকালে আমি হাসপাতালে ঢোকার পর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আম্মা কোথায়? আমি বললাম, একটু পরে আসবেন। তখন তিনি রাগ করলেন আমার সাথে। আম্মা কেন আসেননি সেটি নিয়ে। আপনারা দোয়া করবেন তিনি যেন আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।’
নায়করাজ রাজ্জাক গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় তিনি প্রচণ্ড ঘামছিলেন। বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আদনান ইউসুফের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা করা হয় এবং নিবিড় পরিচর্যার জন্য জেনারেল আইসিউতে নেওয়া হয়। ওই সময় তাঁর নাড়ির স্পন্দন ছিল মিনিটে ১৩০ ও রক্তচাপ ছিল ১৪০/৯০। শব্দযুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ওনার বুকে ওঠানামা হচ্ছিল।’
৭২ বছর বয়সী বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের নায়ক অনেক দিন ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। গত বছর মার্চে তাঁর ছেলে বাপ্পারাজ পরিচালিত ‘কার্তুজ’ সিনেমার সেটে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিছুদিন হাসপাতালে থেকে তিনি বাসায় আসেন আবার এক সপ্তাহের মাথায় তাঁকে স্কয়ারে ভর্তি করতে হয়েছিল। এক বছর ধরে ডাক্তারের পরামর্শে তিনি বিশ্রামে ছিলেন। প্রায় এক বছর তিনি অভিনয় থেকেও দূরে আছেন।