তারকার প্রথম
নিরবের প্রথম সহশিল্পী ছিলেন অপু বিশ্বাস
বর্তমান প্রজন্মের চিত্রনায়কদের মধ্যে নিরব হোসেন একজন আলোচিত অভিনেতা। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েও তিনি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আলাপকালে এনটিভি অনলাইন জানতে চেয়েছিল জীবনের প্রথম কিছু ঘটনার কথা।
প্রথম স্কুল : বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চট্টগ্রাম।
প্রথম শিক্ষক : আমার বড় বোন মেরী আপু। স্টুডেন্ট হিসেবে আমি ভালোই ছিলাম। কখনো যেমন ফেল করিনি, আবার কখনো প্রথমও হইনি।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র : ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’। এটা ২০০৯ সালের কথা। ছবির পরিচালক ছিলেন শাহীন সুমন। ছবিতে আমার সহশিল্পী ছিলেন অপু বিশ্বাস।
সিনেমায় প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা : ছবিতে আমার সহশিল্পী অপু বিশ্বাস তখন অনেক বড় স্টার। অনেক জনপ্রিয়। অন্যদিকে, অভিনেতা হিসেবে আমি একেবারে নতুন। ছবির প্রথম শট ছিল তাঁর সঙ্গে। একটা গানের দৃশ্যের শুটিং ছিল। আমি খুব বেশি নার্ভাস ছিলাম।
প্রথম বিজ্ঞাপন : ২০০৪ সালে নেসক্যাফে কফির বিজ্ঞাপন করেছিলাম। বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা ছিলেন অমিতাভ রেজা। বিজ্ঞাপনের শট দিতে গিয়েও আমি নার্ভাস ছিলাম।
প্রথম বিলবোর্ড : ২০০৭ সালে তিন্নি আর আমি বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন করি। দর্শকের কাছ থেকে আমরা অনেক সাড়া পেয়েছিলাম। সম্ভবত বিজ্ঞাপনটির বিলবোর্ড সাড়ে তিন হাজার হয়েছিল। সারা দেশে আমাদের বিলবোর্ড ছড়িয়ে গিয়েছিল। এটাই ছিল আমার প্রথম বিলবোর্ড। আমার প্রথম বিলবোর্ড নিয়ে দশর্কের উচ্ছ্বাস সারা জীবন মনে রাখার মতো। আমার নিজেরও অনেক ভালো লেগেছিল।
প্রথম অভিনীত নাটক : নাটকটার নাম আমার এখন মনে নেই। নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন সাইফুল ইসলাম মান্নু। আমার সহশিল্পী ছিলেন নোভা। নাটকটির শুটিং ২০০৬ সালে হয়েছিল।
প্রথম পারিশ্রমিক : র্যাম্প মডেল হয়ে প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম। সম্ভবত দুই হাজার টাকা পেয়েছিলাম। এটা ২০০৪ সালরে কথা। টাকাটা পেয়ে আমার চাচাকে সাড়ে চারশ টাকা দামের জুতা কিনে উপহার দিয়েছিলাম। তখন আমি অভিভাবকদের কাছে একটা কথা শুনেছি তা হলো, গুরুজনকে জুতা উপহার দিলে ভাগ্য ভালো হয়। যা হোক, পারিশ্রমিকের আর বাকি টাকা নিজের হাতখরচে শেষ হয়েছিল।
প্রথম প্রেম : স্কুলে থাকতে একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম। তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়তাম।
প্রথম পড়া বই : কমিকসের বই প্রথম পড়েছি। পছন্দের তালিকায় ছিল চাচা চৌধুরী ও নন্টে ফন্টের কমিকস। মাসুদ রানা সিরিজের বইগুলোও অনেক পড়েছি।