নিজের কোন ছবিটি প্রিয় আমিরের?
তাঁকে বলা হয় বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট। ‘দঙ্গল’, ‘ধুম-৩’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘পিকে’র মতো ছবি রয়েছে যার দখলে। প্রতিটি ছবির কাজই তিনি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন। যার মধ্যে কিছু ছবি দর্শকের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়, কিছু ছবি দুমড়ে-মুচড়ে দেয় বলিউড বক্স অফিসের সব রেকর্ড। দর্শকপ্রিয়তায় ও বক্স অফিস বিচারে ‘দঙ্গল’ ছবিটিকেই আপাতত আমিরের পেশাগত জীবনের সেরা ছবি বলে মনে করা হয়। বক্স অফিসে তা আয় করে এক হাজার ৫০০ কোটি রুপি। কিন্তু আমির খান কি ‘দঙ্গল’কে সেরা ছবি মনে করেন? তাঁর মতে তাঁর সেরা ছবি কোনটি?
ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, ‘দঙ্গল’ তা নয়ই, ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া নিজের প্রথম ব্যতিক্রমধর্মী চলচ্চিত্র ‘রঙ দে বাসন্তী’কেও নিজের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচনা করেন না আমির। সম্প্রতি দিল্লিতে ‘সিক্রেট সুপারস্টার’-এর প্রচারে আমির খান বলেন, “আমি মনে করি বাজেট অথবা বক্স অফিসের সাফল্যের ওপর ছবির মান নির্ভর করে না। একটি বড় ছবি তখনই বড় হয়ে ওঠে যখন এটি বড় কিছু বুঝাতে চেষ্টা করে। এটা ছবিটির উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে। আমার মতে, আমি আমার জীবনে যতগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি তাঁর মধ্যে ‘তারে জামিন পার’ ছবিটি আমার করা সবচেয়ে বড় ছবি। কারণ এটি আমাদের শিশুদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। তাই ‘ধুম ৩’ থেকেও এটি আমার কাছে বড়। ‘ধুম ৩’ এ হয়তো দারুণ সব জায়গায় শুটিং করা হয়েছে তবুও এটি আমার কাছে বড় কারণ এই ছবিটির মাধ্যমে আমি আমার দর্শকদের বার্তা দিতে পেরেছি।”
দিওয়ালিতে ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ মুক্তি পেলে, এর প্রতিও একই রকম অনুভূতি থাকবে বলে মনে করেন আমির খান। আমির বলেন, “‘সিক্রেট সুপারস্টার’ও আমার জন্য বিশাল একটি ছবি। কারণ এটি ভারতের ছোট শহরের ১৪ বছরের একটি বালিকার গল্প বলছে। এ রকম লাখ লাখ বালিকা তাদের স্বপ্ন, ভয় ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে ভারতে বসবাস করছে। তাই এটি একটি বড় চিন্তার জায়গা।”
এ ছাড়া আমির বিশ্বাস করেন যাঁরা ‘দঙ্গল’কে ভালোবেসেছেন তাঁরা ‘সিক্রেট সুপারস্টার’কেও ভালোবাসবেন। আমির বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যাঁরা দঙ্গলকে ভালোবেসেছেন তাঁরা সিক্রেট সুপারস্টারকেও ভালোবাসবেন। আমি আশা করছি এটি দেশের সব যুবক-যুবতীকে সংযুক্ত করতে পারবে। আমি এটাও আশা করছি এটি তাদের পিতা-মাতার মনেও নাড়া দেবে এবং আমি মনে করি যাঁরা এই ছবিটি দেখবেন তাঁদের মনেও এটি গভীর প্রভাব ফেলবে।’